মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
04 Feb 2025 11:55 pm
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার সোনাতলার পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নিয়ামুল কবিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং ছাত্রদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
বগুড়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে মো. আল আমিন বলেন, প্রধান শিক্ষক মো. নিয়ামুল কবির আওয়ামী লীগ সরকারের সুপারিশে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি স্কুলের সাতটি মেহগুনি গাছ ও একটি কড়ই গাছ বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কিছুদিন আগে স্কুল উন্নয়নের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত পাঁচ লাখ টাকা কোন কাজ না করে আত্মসাৎ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, স্কুলের আনুমানিক ১২ বান্ডিল ঢেউটিন বিক্রির টাকা, স্কুলের পুরাতন আসবাবপত্র বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। আল আমিন অভিযোগ করে বলেন, ভাউচার জালিয়াতি করে লাখ লাখ টাকা দুর্নীতি এবং দুর্নীতির বৈধতা দেওয়ার জন্য কয়েকজন সহকারী শিক্ষকের কাছ থেকে জোর করে ভাউচারে সই নিয়েছেন। একজন শিক্ষিকা গত চার বছর ধরে স্কুলে ক্লাস না নিয়েও প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় বেতন নিচ্ছেন। এছাড়াও তিনি স্কুলের সৌর বিদ্যুতের ব্যাটারি ও ল্যাপটপ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। বিদ্যুৎ বিল ও স্কাউট ফি’র হিসাবের কোন স্বচ্ছতা নেই বলেও উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, গত ৩০ জানুয়ারি মানববন্ধন করতে গেলে প্রধান শিক্ষক ভয় দেখিয়ে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন বন্ধ করার ব্যর্থ চেষ্টা করেন। তাদের এমন নাজেহাল পরিস্থিতি দেখে সাহায্যে এগিয়ে আসলে মো. মেহেদী হাসান হীরু নামের এক অভিভাবকাকেও মারধর করা হয়। শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের সকল দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা শিক্ষা অফিসারের প্রতি আহবান জানান।