বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
27 Dec 2024 12:46 pm
রুমানা আমিন ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:- বগুড়া পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার গুজিয়া এনায়েতপুর থেকে গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন মোছাঃ সুইটি খাতুন (৩০) নামের এক গর্ভবতী নারী তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে বলেন।
ডাক্তারের কথা অনুযায়ী ওই রোগী তার ভাগিনা মুশফিক কে সঙ্গে করে নিয়ে যায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে সেখানে ডা: মোঃ মশিউর রহমান এর তত্ত্বাবধায়নে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রোগীর হাতে একটি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেই আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে সে জানতে পারে তার গর্ভে একটি বাচ্চা আছে।
পরবর্তীতে আবার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিপোর্টটা নিয়ে গেলে পরের দিন ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ দুপুর আনুমানিক ১২.০০ ঘটিকার সময় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শরীরে অতিরিক্ত প্রেসার এবং শরীরে পানি জমার কারণে সিজার করেন। সিজার করে দেখা যায় তার গর্ভে দুটি বাচ্চা, একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। সে যখন জানতে পারে তার গর্ভ থেকে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে ঠিক তখনই ওই রুগীর ভাগিনা মুশফিক গণমাধ্যমকে জানান পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করে দেখা যায় একটি বাচ্চা এখন হঠাৎ দুইটি হলো কিভাবে। এ ব্যাপারে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা: মোঃ মশিউর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান মানুষ মাত্রই ভুল হয়।
তিনি আরও বলেন আমি অতটা খেয়াল করতে পারিনি তাই হয়তো রিপোর্ট ভুল এসেছে। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয় রোগীদের মধ্যে নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন একটা স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে এরকম ভুল রিপোর্ট কেউ আশা করেননি। রোগ নির্ণয়ের নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে এমন অভিযোগ অনেকের। এতে একদিকে রোগীরা যেমন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন অন্যদিকে সঠিক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়ছেন। বগুড়া সিভিল সার্জন অফিসে এই ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা জানান রোগীকে ভুল রিপোর্ট দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।