বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
27 Dec 2024 06:20 pm
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ-তেঁতুলচা তৈরি করে সারা ফেলেছেন সুজা নামের এক চা বিক্রেতা।তেঁতুল নাম শুনলেই জিবে জল চলে আসে।শুধু নারী নয়, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার দুর্বলতা রয়েছে এ ফলের প্রতি।এটা বিক্রি হয় প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত তেঁতুলের সঙ্গে কাঁচামরিচ মিশ্রিত সু স্বাদ ও চায়ের স্বাদ পরখ করতে প্রতিদিন দোকানটিতে আসছেন নানা বয়েসী চা প্রেমী মানুষ।
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীর শিশু কানন স্কুল এন্ড কলেজে সামনে দোকানটিতে তেঁতুল চায়ের জন্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফুউউ ক্যাফে।দোকানে প্রতিদিন ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা শুধু এই তেতুলচার বিক্রি হয় তার।দোকানে সুজা পলাশবাড়ী নুনিয়াগাড়ী ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা,তিনি কাজের ফাঁকে ফাঁকে শোনালেন জনপ্রিয় হয়ে ওঠা তার তেতুল চায়ের গল্প।এরপর মাঝখানেকের মধ্যে তার তেঁতুল চা এ উপজেলা সহ আশেপাশে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে তার তেঁতুল চায়ের স্বাদ নিতে ছুটে আসছেন নানার বয়সী চা প্রেমী মানুষ।
২৫ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে এলাকায় তার দোকানে গিয়ে চা বিক্রির সরগরম লক্ষ্য করা গেছে।তার দোকানের চা খেতে আসা বিভিন্ন খরিদ্দারদের সাথে কথা বলা বলে জানা যায়,তার দোকানে পাওয়া যায় ভিন্ন স্বাদের চা।তেঁতুল চা, মরিচ চা ও লেবু চা সহ ৮ থেকে ১০ রকমের চা।লেবু, চায়ের লিকার, কাঁচা মরিচ, তেঁতুল, চিনি ও বিশেষ এক ধরনের মশলা দিয়ে এসব চা তৈরি হয়, যা টক, ঝাল ও মিষ্টি।দূর-দূরান্তের মানুষজনও ভিন্ন স্বাদের এ চা পান করতে তার চা দোকানে আসেন।
সারাদিন চা-প্রেমীদের ভিড় লেগেই থাকে।প্রতিদিন সন্ধ্যার পর দ্বিগুণ এসব বিভিন্ন রকমের চা বেচাকেনা হয়।এর মধ্যে তেঁতুল চা কাপের মূল্য ২০ মরিচ চা ও লেবু চায়ের কাপের মূল্য ১৫ টাকা আর মালাই চা ২৫ টাকা।