মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
27 Dec 2024 08:43 am
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:- সরকারকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বাস্তবতার চেয়ে অত্যন্ত কম মূল্যে ফ্যাসিবাদের দোসরদের দেয়া চট্টগ্রামের কালুরঘাট রেলসেতুর দরপত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ফ্যাসিবাদ উৎখাত আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সাবেক ছাত্রনেতা এম এ হাশেম রাজু।
২৪ ডিসেম্বর গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, চট্টগ্রাম-দোহাজারী শাখা লাইনের কর্ণফুলী নদীর উপরিস্থিত কালুরঘাট রেলসেতু নং-মিডি/১০ এর উপর দিয়ে বিদ্যমান সড়ক পথে যানবাহন (সুনির্দিষ্ট) পারাপারের জন্য রেলওয়ে প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত হারে মাশুল/ টোল আদায়ের স্বত্ব এক বছরের জন্য হারা প্রদানের নিমিত্ত প্রকৃত বাংলাদেশী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির নিকট হতে সিলমোহর কৃত খামে গত ০৯/১২/২০২৪ইং তারিখে দাখিলকৃত/ অনুষ্ঠিত দরপত্র বাতিল পূর্বক পুনঃদরপত্র আহবান করতে হবে।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের দরপত্র আহবানের প্রেক্ষিতে মাত্র ৯টি দরপত্র জমা হয়। তার মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে 'মাওয়া এন্টারপ্রাইজ' নামে একটি প্রতিষ্ঠানের দর ৫,২০,০০,০০০/- (পাঁচ কোটি বিশ লক্ষ) টাকা দর পাওয়া যায়, যা বর্তমানে বিপুল যানবাহন চলাচলকারী পত্র জমা পড়ে। যা রেলসেতু বিবেচনায় প্রাপ্য দরের চেয়ে অত্যন্ত কম, এতে রেলওয়ে প্রশাসন তথা সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে এই কম দর গ্রহণ করা কোন অবস্থাতেই দেশের জন্য কাম্য নয়। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পলাতক অবস্থায় দূর থেকে কলকাঠি নাড়িয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত কম দরপত্র দাখিল করে। প্রকৃতপক্ষে, আরো অনেক বেশি পরিমাণ দর পাওয়া বাস্তবতা ও সময়ের দাবি। এতে অধিক রাজস্ব আয় থেকে সরকার তথা রেল প্রশাসন বঞ্চিত হবে, যা জনস্বার্থে গ্রহণযোগ্য নয়, বিধায় আহবান কৃত দরপত্র বাতিল পূর্বক পুনঃদরপত্র আহবান করা অতীব জরুরী।
তিনি বলেন, আমরা গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণাদিসহ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে আবেদন দাখিলের পরও এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতেই প্রমাণ হয় পতিত ফ্যাসিস্টের শৃঙ্খল এখনো দ্বিগুণ শক্তিশালী। তারা এখনো রাষ্ট্রের সম্পদ বীরদর্পে লুটপাট করে খাচ্ছে। কিন্তু বিপ্লবী ছাত্র—জনতা তাদের সেই প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে সর্বদা প্রস্তুত।
বার্তা প্রেরক,,(মোঃ সেলিম কায়সার)যুগ্ম সমন্বয়ক,চট্টগ্রাম বিভাগ,ফ্যাসিবাদ উৎখাত আন্দোলন