শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
12 Dec 2024 10:57 am
অলিউর রহমান মেরাজ নবাবগঞ্জ দিনাজপুর প্রতিনিধি:-দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস ৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে সুর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের ঝুকিনিয়ে লড়াই করে নবাবগঞ্জ থেকে দখলদার পাকবাহিনীকে তাড়িয়ে শত্রু মুক্ত করেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা উড়িয়েছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করে আসছেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এর আয়োজনে সকালে কর্মসূচীর অংশ হিসেবে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিজয় র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শেষ হয়।
র্যালী শেষে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দবিরুল ইসলাম (সাবেক কমান্ডার), বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজেদুর রহমান ও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলাম ও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম ফতে উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মোঃ সেলিম রেজা ও উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মশিউদ দৌলা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ সাজ্জাদ আল মামুন ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ ওয়েদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।
এবিষয়ে স্থানীয় বীরযোদ্ধাগণ জানান, ২৪ মার্চ পর্যন্ত নবাবগঞ্জে পূর্ণ শান্তি বিরাজ করে আসছিল কিন্তু ২৫ মার্চের গভীর রাতে সারা দেশে দখলদার পাাকবাহিনীর দ্বারা নিরীহ বাঙালিদের হত্যাযজ্ঞের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে,২৬ মার্চ এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিসদ কমিটির উদ্যোগে নবাবগঞ্জ শহরে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয় । স্বাধীনতা যুদ্ধচলাকালিন সময়ের এক পর্যায়ে এপ্রিলের ২ তারিখে দখলদার পাকবাহিনী আক্রমণ করে নবাবগঞ্জ পুরো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় এবং তারা তখন থেকে শুরু করে এখানকার বাঙালিদের ওপর নির্মম অত্যাচার।
হত্যা, লুটতারাজ ও অগ্নিসংযোগসহ বর্বর নির্যাতন চালায় তারা। মাতৃভূমিকে দখলদারের কবল হতে মুক্ত করতে তৎকালিন নবাবগঞ্জের মুক্তিকামী যুবকরা যোগ দেন মুক্তিবাহিনীতে। ভারতের মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার বিভিন্ন দিকহতে নবাবগঞ্জে প্রবেশ করে দখলদার পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায় মুক্তি সেনারা। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনীর হাতে নিশ্চিত পরাজয় ভেবে দখলদার পাকবাহিনী নবাবগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।