বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪
24 Nov 2024 05:15 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- আইফোন পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ও অন্যতম জনপ্রিয় ফোনগুলোর একটি।অনেকেরই স্বপ্ন থাকে একটি আইফোন ব্যভার করার।অনেকেই আবার এটিকে সামাজিক অবস্থান বা স্ট্যাটাসের প্রতীক মনে করেন।কিন্তু সাধ থাকলেও আইফোন কেনার সাধ্য আছে ক’জনার। তবে এমনও অনেকে আছেন যারা সাধ্যের বেড়াজালে স্বপ্নকে বন্দী রাখেন না, তাই পুরাতন বা ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ হলেও আইফোনের মালিক হতে চান।
আবার সামর্থ্যবান আইফোনপ্রেমীদের অনেকেরই নতুন আইফোনের প্রতি রয়েছে অমোঘ টান। আইফোনের নতুন সিরিজ বাজারে এলেই তাকে আপন করে নিতে তাদের পকেট কখনো টান পড়ে না। তাই পুরাতনকে ছেড়ে নতুনের পানে এগিয়ে যান তারা।
বাজারে তাই একদিকে যেমন আছে সাধ্য-সংকটে ভোগা একদল আইফোনপ্রেমী, অন্যদিকে আছে ‘নতুন আইফোন’-এর ইচ্ছাধারী একদল বিশ্বস্ত আইফোন অনুসারী। চাহিদা-জোগানের বাজার ব্যবস্থাপনায় এই দুই দলের এক চমৎকার মিথস্ক্রিয়া তৈরি হয়েছে। আর তাই পুরাতন বা সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোনের বাজার মোটামুটি বছরজুড়েই থাকে সরগরম।
সেকেন্ড হ্যান্ড বা পুরাতন আইফোনের বেশ চাহিদা রয়েছে বাজারে। সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় অনেকেই পুরাতন আইফোনের দিকেই হাত বাড়ান। এখানেই ‘আসল না নকল’- এই বিষয়টি সামনে চলে আসে। আপনি যে ফোনটি কিনতে যাচ্ছেন সেটির কোনো পার্টস বা যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করা হয়েছে কি না, করা হয়ে থাকলে নতুন লাগানো যন্ত্রাংশটি অ্যাপলের আসল (অরিজিনাল) পণ্য কি না- এমন বিষয়গুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জেনে নিন সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার সময় কোন বিষয়গুলোতে বেশি নজর দেবেন-
১. আইফোনের সিরিয়াল নম্বর
ইনভয়েস এবং রিটেল বক্সের সাহায্যে আইফোনের সিরিয়াল নম্বর অথবা আইএমইআই ম্যাচ করানোর পাশাপাশি অ্যাপলের ওয়েবসাইটে গিয়ে তা যাচাই করিয়ে নিতে হবে। এতে আইফোন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সামনে এসে যাবে। সেখান থেকেই মিলিয়ে নিতে পারবেন সইরিয়াল নম্বরটি।
২. আইফোনটির ব্যবহার করার জন্য উপযুক্ত কি না
সেকেন্ড হ্যান্ড আইফোন কেনার আগে সেটার অবস্থা ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে। আইফোনে কোনোরকম স্ক্র্যাচ কিংবা ড্যামেজ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত। অতিরিক্ত স্ক্র্যাচ কিংবা ড্যামেজ থাকলে দর কষাকষি করা যেতে পারে।
৩. আসল ডিসপ্লে আছে কি না
আইফোনের সবচেয়ে সার্ভিসযোগ্য অংশ হলো ডিসপ্লে এবং ব্যাটারি। আইফোনের ডিসপ্লেতে কারচুপি করা হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে নিন। এজন্য এর ট্রুটোন ক্যাপাবিলিটি পরীক্ষা করা। সেই সঙ্গে দেখে নিতে হবে, ফেস আইডি কাজ করছে কি না।
৪. ব্যাটারি হেলথ
ডিসপ্লের মতোই ব্যাটারি আসল কি না, তা পরীক্ষা করে নিতে হবে। যদিও ব্যবহার করা আইফোনে ব্যাটারি হেলথ তেমন ভালো থাকে না। তবে যদি আইফোনে কোনো ব্যাটারি হেলথ সংক্রান্ত স্ট্যাটাস না দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে, এতে রয়েছে নকল ব্যাটারি। তবে ব্যাটারি হেলথ ৮০ শতাংশের উপরে কি না, তা দেখে কেনাই ভালো।
সবচেয়ে আধুনিক আইফোনের পিছনে দুটি ক্যামেরা থাকে। প্রো আইফোনগুলোতে থাকে তিনটি ক্যামেরা। ক্যামেরা অ্যাপটি খুলতে হবে। সব ক্যামেরা ফাংশন ঠিকমতো কাজ করছে কি না, দেখে নিতে হবে। তার জন্য ছবি তুলে কিংবা ভিডিও রেকর্ড করেও দেখা যেতে পারে।