শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪
24 Nov 2024 06:27 am
কবির হোসেন মিজি:- দুই পক্ষের জমি সক্রান্তের বিরোধে মাঝখানে ১৭ লাখ টাকার মাছ হারালো মুন্না হাওলাদার নামের এক মাছচাষী।চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুরে শত্রুতা উদ্ধারে রাতের আঁধারে মাছ চাষের খামারের বাঁধ কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।মাছের খামারের বাঁধ কেটে ফেলায় পানির স্রোতের সাথে ভেসে গেলো প্রায় ১৭ লাখ টাকার চাষকৃত মাছ।আর এই মর্মান্তিক ও দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়াটস্থ পূর্ব খেরুদিয়া গ্রামের হাজরা বাড়িতে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ওই গ্রামের ভুক্তভোগী মাছচাষী মুন্না হাওলাদার জানান,তিনি প্রায় দুই বছর পূর্বে হাজরা বাড়ির মোঃ ইব্রাহিম হাজরার কাছ থেকে এক একর ৭২ শতাংশ জমি ১২ বছরের জন্য পোষণী নেন।তারপর তিনি ওই জমিতে বাঁধ নির্মান করে সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছেন।
এদিকে ইব্রাহিম হাজরা এবং তাদের আত্মীয় মৃত সায়েদ আলী হাজরার ছেলে সফিক হাজরা, শরবত আলী হাজরার ছেলে ওয়াদুদ হাজরা গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো।তারই সূত্র ধরে ঘটনার আগের দিন সফিক হাজরা এবং ওয়াদুদ হাজরা মুন্না হাওলাদারকে পোষনী নেয়া জমি ছেড়ে দেয়ার কথা বলেন।
মুন্নার অভিযোগ তারা তাকে হুমকি স্বরূপ বলেন, তুই যদি জমি না ছেড়ে দিস তাহলে কিভাবে তোর মাছ থাকে সেটি দেখবো।তার পরেরদিন সকালেই মুন্না তার শ্বাশুড়ির ফোন পেয়ে জানতে পারেন তার মাছ চাষের বাঁধ ভেঙ্গে সমস্ত মাছ ভেসে যাচ্ছে। তিনি দৌড়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন বাঁধের মাঝখানে বিশাল জায়গা জুড়ে কেটে দেয়া হয়েছে। পানির স্রোতের সাথে ভেসে যাচ্ছে তার চাষকৃত হাইব্রিড তেলাপিয়া, রুই, কাতল, কালিবাইস, পাঙ্গাস সগ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এতে তার প্রায় ১৭ লাখ টাকার মাছ চলে গিয়েছে।
পোষনী দেয়া জমির মালিক ইব্রাহিম হাজরা ও তার পুত্র একই কথা জানিয়ে বলেন কিছু টাকার প্রয়োজনে আমরা আমাদের এক একর ৭২ শতাংস জমি মুন্নার কাছে পোষনী দেই।সে এখানে গত দুই বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছে। আমাদের সাথে
সফিক হাজরা এবং ওয়াদুদ হাজরার সাথে জমির বিরোধ নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে।কিন্তু তারা আমাদের সাথে শত্রুতা নিয়ে রাতের আধারে মুন্নার মাছ চাষের বাঁধ কেটে দেয়। এটি খুবই দুঃখজনক।তারা আমাদের সাথে আদালতে মামলায় বুঝুক।কিন্তু একজন তৃতীয় ব্যক্তির এই ক্ষতি করাটা মানুষের কাজ হতে পারেনা।
কারো সাথে জমি সংক্রান্ত ব্যক্তিগত শত্রুতা উদ্ধারে এমন জঘন্যতম কাজের জন্য তারা চাঁদপুরের জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
এ বিষয়ে সফিক এবং ওয়াদুদ হাজরাদের বক্তব্য নেয়ার জন্য তাদের বাড়িতে গেলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।