সোমবার, ০৪ নভেম্বর, ২০২৪
26 Nov 2024 04:03 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- হিলারির চেয়ে কম ভোট পেলে২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।বারাক ওবামার উত্তরসূরি হয়ে ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পরের বছরের ২০ জানুয়ারি শপথ নেন। তবে মজার ব্যাপার হলো- ট্রাম্প ওই নির্বাচনে প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে কম ভোট পেয়েছিলেন।এখন প্রশ্ন হলো- এরপরও কেন ট্রাম্পকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়?
যুক্তরাষ্ট্রে বেশি ভোট পেলেই যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া যাবে তা নয়।
কারণ, ভোটাররা সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন না। ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ নামে দেশটিতে প্রচলিত এক পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়ে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রে যদি সবচেয়ে বেশি প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নিয়ম থাকতো, তাহলে ২০১৬ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেন হিলারি ক্লিনটন। নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন তিনি।
হিলারি দুই লাখের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও দেশটির নির্বাচনী ব্যবস্থার কারণেই হেরে যান হিলারি।
নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন মোট ভোট পেয়েছিলেন ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৫টি। ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছিলেন ৫ কোটি ৯৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০৬ ভোট।
কিন্তু ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছিলেন ২৭৯টি, আর হিলারির পক্ষে গিয়েছিল ২২৮টি। মূলত এসব ভোটের মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আর ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৫৩৮ জন ইলেক্টোরাল বা নির্বাচককে নিয়ে ইলেক্টোরাল কলেজ হয়। একেকটি অঙ্গরাজ্যে জনসংখ্যার অনুপাতে সেখানে ইলেক্টোরাল সংখ্যা থাকে। ভোটাররা যখন ভোট দেন, তারা ডোনাল্ড ট্রাম্প বা হিলারি ক্লিনটন বা অন্য কাউকে ভোট দিলেও আসলে একেকজন ইলেক্টোরালকে বাছাই করেন।
নেব্রাস্কা আর মেইন অঙ্গরাজ্য ছাড়া বাকি সব রাজ্যে যে প্রার্থী বেশি ভোট পান, তাকে ওই রাজ্যের সব ইলেক্টোরাল ভোট দিয়ে দেয়া হয়। তবে ওই দুইটি রাজ্যে প্রার্থীদের পাওয়া সংখ্যা অনুযায়ী বাকি ভোট ভাগ হয়।
এ কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভোট কিছুটা কম হলেও, তার ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা হয়েছিল বেশি। কারণ তিনি এমন অনেকগুলো রাজ্যে ভালো করেছেন, যেখানকার সব ইলেক্টোরাল ভোট তার পক্ষেই যোগ হয়েছিল।ও ট্রাম্প কেন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন?