বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪
01 Nov 2024 04:41 pm
শাহ্ আলী বাচ্চু স্টাফ রিপোর্টারঃ-জামালপুর সদর উপজেলা ঐতিহ্যবাহী শ্রীরামপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯২৭সালে প্রতিষ্ঠিত।বর্তমানে প্রধান শিক্ষক রবিউল আওয়াল খান ও শরিফপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আলমের স্বেচ্ছাচারিতা,নিয়োগ বাণিজ্য, সরকারী বরাদ্দকৃত অর্থ ও বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে রাস্তা সংলগ্ন গাছ,পুরাতন ভবনের টিন, এঙ্গেল, ইট, দরজা- জানালা এবং পুরাতন মসজিদের ইট,টিন,কাঠ বিক্রি, দীর্ঘদিন যাবৎ পুকুর লিজ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে এলাকারবাসী কিছুই জানেনা।নিজ দলীয় লোকের নিকট বিক্রি করেছেন।সরকারী বরাদ্দকৃত অর্থ দ্ধারা নির্মিত বিল্ডিং এর উপর দ্বিতল ভবন তুলতে হলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কতৃপক্ষে অনুমতি ব্যাতিরেক্ষে পুরাতন জরাজীর্ণ বিজ্ঞান ভবনের উপরে দ্ধিতল ভবন নির্মাণ করেছেন এবং কোন প্রকৌশলীর পরামর্শ নেয়া হয়নি জানা যায় ।এই ভবনটি যে কোন মূহুর্তে ঘটতে পারে বড ধরনের দর্ঘটনা।
আরও উল্লেখ যে, কিছুদিন পূর্বে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের লোহার জানালা -দরজা ও গ্রীল চুরি হয়।প্রধান শিক্ষক রবিউল আওয়াল খান চোরকে হাতে নাতে ধরলেও চোরের পক্ষের লোকজন নিয়ে ও সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আলম চেয়ারম্যানের সহযোগিতায়
চোরের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে চুরির ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছেন।বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক প্রাক্তন ছাত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক থাকায় এলাকায় জানাজানি হলে ছাত্রীর অভিভাবক ও গণ্যমানব্যক্তি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট মৌখিক অভিযোগ দিলেও তার সহকারী শিক্ষকের নিকট থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করে ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়েছেন। সেই শিক্ষক এখনো বহালতবিয়তে আছেন।
রবিউল আওয়াল খান বিদ্যালয়ে যোগদানের সময় তৎকালীন সময়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন আলতার হোসেন। অযোগ্য প্রধান শিক্ষক রবিউল আওয়াল খানের যোগাদানের বিরোধীতা করায় ম্যানেজিং কমিটির মিটিং এ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেন উক্ত মিটিং এ অনুপস্থিত থাকলে পুরাতন রেজুলেশন খাতা না পেয়ে নতুন খাতায় রবিউল আওয়াল খানের নিয়োগের রেজুলেশন করা হয় ।
প্রধান শিক্ষক হিসেবে রবিউল আওয়াল খান বিদ্যালয়কে ধ্বংসের দারপ্রান্তে এনে দাড় করে নিজের আধিপত্য ও আখের গোছানোর মত কাজ করছেন।যাহা বিগত সরকারের আমলে বিদ্যালয়ে যতগুলো শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে প্রধান শিক্ষক রবিউল আওয়াল খান লক্ষ লক্ষ টাকা বিদ্যালয়ের উন্নয়নের নামে টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেছেন।
বিগত সরকার পতনের অনেক আগে থেকেই দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের ফলাফল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
অতিসম্প্রতি বিদ্যালয়েের নৈশপ্রহরী-ছানোয়ার হোসেন এর সহযোগিতায় এলাকা কতিপয় খারাপ যুবকরা রাতে পতিতা নিয়ে বিদ্যালয়ে আনন্দ ফুর্তি করে।এ ঘটনা প্রধানশিক্ষক জানতে পারলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন প্রকার আইনী ব্যবস্থা নেয়নি নৈশপ্রহরী ও যুবকদের বিরুদ্ধে।
প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের জন্য ছাত্রছাত্রী ভর্তির হার দিন দিন কমে যাওয়া, প্রায় সময় প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিত থাকায় বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কার্যক্রমে স্থ’বিরতা দেখা দিয়েছে।ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় অনিয়ম, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের দাতাসদস্যদের পরিবারের কাউকে সদস্য না করে নিজের মনগড়া লোকজন নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে একক আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন প্রধান শিক্ষক।তার স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের জন্য শিক্ষকগণ মনোক্ষুণ্ণ এবং সকল সুবিধা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের বঞ্চিত,অবৈধ কাজে সম্মতি না দিলে খারাপ আচরণসহ নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। এর জন্য একজন শিক্ষক চাকরি বাদ দিয়ে অন্য বিদ্যালয়ে চলে গেছে।
শিক্ষক-কর্মচারীদের অজান্তে বিদ্যালয়ের বিগত বছর গুলোতে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রভাবশালীদের নিয়ে তার অপকর্ম ঢাকতে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি করেছেন।এসব কারণে তাকে নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষক ও কর্মচারীসহ এলাকার শিক্ষানুরাগী, অভিভাবক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়ে আছে। শরিফ পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২ং শরিফ পুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আলম প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের নেতা ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হওয়ায় তার ভয়ে এলাকার লোক জন মুখ খুলতে পারিনি।প্রধান শিক্ষক রবিউল আওয়াল খান চাকরি বহাল রাখতে অনিয়ম দূর্নীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে পরিচালনা পর্ষদে গঠন।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আলম কে চার বার সভাপতি করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষকও কয়েক দিন আত্মগোপনে ছিলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলেও রবিউল আওয়াল খানের প্রভাব বন্ধ হয়নি।প্রধান শিক্ষক পদটি আঁকড়ে ধরে রাখতে তিনি স্থানীয় ভিলেজপলিটিক্সসহ বহিরাগতদের সহায়তায় সহায়তায় প্রধান শিক্ষকের পদটি আঁকড়ে ধরে রাখার আছেন।
এলাকাবা ছাত্র জনতার স্বাক্ষরিত এক অভিযোগে জানা যায়, এই অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ দূর্নীতির কথা।এলাকার শিক্ষানুরাগী, ছাত্র জনতা রবিউল আওয়াল খানকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে বয়কট করেছন। এলাকাব ছাত্র জনতা স্বাক্ষরিত অভিযোগ জামালপুর জেলা প্রশাসক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা,জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় নিকট দায়ের করেছেন।এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর অভিযোগ দায়ের করাহয়ে।যাহার স্মারক নং ২৫০০ তাং ০২/১০/০২৪ ইং।
ইতিপূর্বে শিক্ষা মন্ত্রনালয় নিয়োগ বানিজ্য ও দূর্নীতির অভিযোগে এলাকাবাসীর স্বাক্ষরিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যাহার স্মরক নং ৬২১৯,তাং ১৮/০৯/২০১১ইং কিন্ত সে সময়ে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি ছিলেন জামালপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।সভাপতির এক আত্মীয় সেই সময়ে মন্ত্রী ছিলেন। মন্ত্রীকে দিয়ে তদবির করে অভিযোগটি এখন ও ফাইলে চাপা পড়ে আছে।
জরুরি ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক রবিউল আওয়াল খানের বিদ্যালয়ের দুর্নীতি,অনিয়ম,স্বেচ্ছচারিতা নিয়োগবাণিজ্যের তদন্ত সাপেক্ষে তাকে অপসারণ না করা হলে ছাত্র জনতা কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করবেন বলে জানা যায়।