বুধবার, ০৯ অক্টোবর, ২০২৪
22 Nov 2024 06:27 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ-একসময় ঘাঘট নদী ভাঙনে বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিলীন হয়।আর এই ভাঙনরোধে কাজ করে পাউবো।বসানো হয় জিও ব্যাগ।এ কাজের এক বছর যেতে না যেতেই ধসে যাচ্ছে সেই ব্যাগগুলো।এখন বসতবাড়ির সন্নিকটে ঠেকেছে ভাঙন।সেই সময়ে নিম্নমানের কাজ করায় ফের নদী ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।বর্তমানে প্রায় ৩০ পরিবার ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১০ পরিবারে কাটছে নির্ঘুম রাত।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সরেজমিনে এমনি এক চিত্র দেখা গেছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চকদাড়িয়া-পাতিল্যাকুড়া (সাতঘটিপাড়া) নামকস্থানে। সেখানে অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হচ্ছে আবাদী জমি। একই সঙ্গে বসতভিটা ভাঙন আতঙ্কে ভুগছেন ৩০ পরিবারের শতাধিক মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি চকদাড়িয়া-পাতিল্যাকুড়া (সাতঘটিপাড়া) নামকস্থানে ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বেড়েছে স্রোতের গতিবেগ।এখানে নদীর বাঁক থাকায় শুরু হয়েছে ভাঙন।ইতোমধ্যে নদীগর্ভে যাচ্ছে কৃষকের আবাদী জমি।এছাড়া এই স্থানে পাউবোর বসানো জিও ব্যাগগুলোও ধসে পড়ছে।ফলে হুমকির মুখে ৩০ পরিবারের মানুষ।বিশেষ করে বাচ্চা মিয়া, মান্নান মিয়া, আইয়ুব আলী, রাজ্জাক মিয়া, জরিপ মিয়া ও খবির উদ্দিনসহ আরও বেশ কিছু পরিবারের ঘরবাড়ি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাফিউল ইসলাম বলেন, চকদাড়িয়া-পাতিল্যাকুড়া (সাতঘটিপাড়া) নামকস্থানে ঘাঘট নদীর করাল গ্রাসে ইতোপুর্বে আল আমিন,একরামূল ও শফিকুলসহ আরও অনেকে বাপ-দাদার বসতভিটা হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছে অন্যত্র।এখানে ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ করলেও তা টেকসই হয়নি। নিম্নমানের কাজের কারণে ইতোমধ্যে এই ব্যাগগুলো ধসে যাচ্ছে নদীতে। ফলে আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। সরকারিভাবে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া না হলে নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে একাধিক বসতবাড়ি।
এ বিষয়ে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান শুভ (কাওছার মন্ডল) বলেন, ওইস্থানে নদী ভাঙনের বিষয়টি জানা নেই। খতিয়ে দেখে পানি উন্নয়ন বোর্ডে কথা বলা হবে।
সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাওছার হাবীব জানান, এ উপজেলাধীন ঘাঘট নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙনরোধে ডিসি স্যারকে অবহিত করা হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, ঘাঘটের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে নদী ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।