বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
21 Nov 2024 12:24 pm
৭১ভিশন ডেস্ক:- অধিকাংশ সময় বাড়িতে ঝগড়া-অশান্তি লেগে থাকে শাশুড়ি-বউমার মধ্যে বনিবনা না হওয়ার কারণে। এসব কারণে বিচ্ছেদ পর্যন্ত হতে দেখা যায়। আলাদা বাসায় থাকাটা তো স্বাভাবিকই। বউ-শ্বাশুড়ি এমন সম্পর্ক যুগে যুগে হয়ে আসছে।
এ সমস্যার আঁচ করে অনেকেই বিয়ে করতেও ভয় পান। এর কারণ হলো একে অপরের প্রতি সমান শ্রদ্ধা ও সম্মান না থাকা।
আজকের প্রতিবেদনে জানাব এমন কিছু টিপস, যেগুলো মেনে চললে ভালো হবে বউ-শাশুড়ির সম্পর্ক। চলুন, তাহলে জেনে নিই শ্বাশুড়ি-বউ সম্পর্ক ভালো রাখার কিছু টিপস।
স্বামীকে নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করাটা বোকামি। বরের সামনে শাশুড়ির থেকে সব দিকেই ভালো এমনটা দেখানোর প্রয়োজন নেই।শাশুড়িরা বয়সে বড়, অভিজ্ঞতাও বেশি। তাই সংসার সামলাতে আপনার থেকে বেশি দক্ষ।
শাশুড়ির প্রতি সম্মান শ্বশুরবাড়িতে আপনার জায়গা অনেক বেশি পোক্ত করবে।কর্মক্ষেত্র নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে মতবিরোধ করা যাবে না। শাশুড়ি আপনার কাজ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না-ও থাকতে পারে। তাই বলে মতবিরোধ করাটা ঠিক হবে না।
শাশুড়ির কথা অবজ্ঞা না করে বরং কয়েক দিন আপনার কাজ, কর্মক্ষেত্র নিয়ে গল্প করুন শাশুড়ির সঙ্গে।
বাইরের জগৎ সম্পর্কে শাশুড়ির ধারণা তৈরি করুন। দেখবেন সমস্যা অনেকটাই কমেছে।
বয়স্ক মানুষ অল্পতেই রেগে যান, আবার অল্পতেই রাগ কমে যায়।এমনটা আপনার বাবা-মায়ের ক্ষেত্রেও হয় নিশ্চয়ই। তাই শাশুড়ি কোনো কাজ করলে সমালোচনা না করে বরং তার প্রশংসা করুন।এতে শাশুড়ি উৎসাহিত হবেন। শাশুড়ির সঙ্গে বেশি বেশি গল্প করা।একে অপরের সঙ্গে কথাবার্তা বাড়লেই তো সম্পর্কের ভিত মজবুত হবে।
শাশুড়ির কোনো কথায় আঘাত পেলে রাগ মনে পুষে রাখা যাবে না। কথায় কথায় শাশুড়িকে বুঝিয়ে দিতে হবে, আপনি তার কথায় কষ্ট পেয়েছেন। তবে ঝগড়া-অশান্তির ছলে নয়, শান্তভাবে আপনার সমস্যার কথা তাকে জানান। আপনার কোনো কথা তার খারাপ লাগলে তাকেও জানাতে বলুন। এভাবেই সম্পর্কের তিক্ততা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
শাশুড়ির পছন্দের বিষয়গুলো বেশি করে খেয়াল রাখতে হবে। শাশুড়ির পছন্দের রান্না, অসুস্থতায় যত্ন করা, আপনার এই ছোট ছোট প্রয়াসগুলোই তার মনে জায়গা করে নেবে। দীর্ঘদিন সংসারের টানাপড়েনের জেরে অনেকেই খিটখিটে হয়ে যান, কিন্তু তার কথাও কেউ ভাবছে দেখলে তিনি খুশিই হবেন। সবাই মিলে গল্প করুন, সময় দিন শাশুড়িকে। স্বামীকেও বলুন তার মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে। মা-ছেলের সম্পর্কের মধ্যে না পড়াই ভালো।
কালের কণ্ঠের