সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
22 Nov 2024 03:11 am
মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম,হিলি(দিনাজপুর) প্রতিবেদক:-দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার কাশিয়ারা, শিবরামপুর, হরিনাসহ প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র কাঁচা রাস্তাটির আজ বেহাল দশা।শিক্ষার্থী, রোগীসহ নানা গুরুত্বপূর্ন কাজে চলাচলে কষ্ট পোহাতে হয় গ্রামবাসীদের। বর্ষাকাল আসলে গ্রামের ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিতেও আসে না বাহিরের কেউ।চরম ভোগান্তিতে পড়ে আছে কয়েক হাজার মানুষ।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, চাটশাল পাকা রাস্তার মোড় থেকে শিবারামপুর গ্রাম পর্যন্ত কাঁচা এই কিলোমিটার ,রাস্তা মাটির রাস্তা দিয়ে আশপাশের ১০টি গ্রামের লোকজন চলাচল করে।বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে কাদা জমে রাস্তায়। রাস্তাটি গ্রামবাসীর চলাচলে একেবার অনুপযোগী হয়ে উঠে। এমন কি গ্রামগুলোর ছেলে-মেয়েদের বিয়েও দিতে চায়না কেউ। বিগত দিনে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারেদ্বারে ঘুরেও রাস্তাটি পাকাকরণ হয়নি।
এই ১০টি গ্রামে বসবাস করে প্রায় ২০ হাজার লোকজন। তবে বেশি বিপাকে পড়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।অল্প বৃষ্টির পানিতে কাঁচা সড়কটিকে দেখে মনে হবে হাল চাষ করার জমি।কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলে এলাকাবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীসহ শিশু শিক্ষার্থী ও পথচারী এবং মসজিদের মুসল্লিদের চলাচলে দুর্ভোগের শেষ নেই।
রাস্তাটির পাশে থাকা গাছগুলো কর্তন না করার ফলে টেন্ডার হওয়ার পরেও কাজ শুরু হয়নি। এমন ভোগান্তির প্রতিবাদস্বরূপ রাস্তাটিতে ধানের চারা রোপণ করেছেন গ্রামবাসী ও পথচারীরা।
গ্রামবাসী মোনজুরুল ইসলাম রুমোন, মোহায়মেনুল ইসলাম মোহন, জাহিদুল সরকার, মাওলানা শামছুল হকসহ অনেকেই বলেন, আমরা এই ১০ গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত হয়ে পড়ে আছি।এই দুই কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে হেঁটে প্রধান সড়কে যেতে হয়। বর্ষাকালে আমরা বাড়ি থেকে বেড় হতে পারি না।ছেলেমেয়েরা স্কুল কলেজে যাওয়া-আসা করতে পারে না।
তারা আরও বলেন, রাস্তা নির্মাণের জন্য টেন্ডার হয়েছে।কিন্তু রাস্তার দুই পাশের গাছগুলো অনেক আগে এক ঠিকাদার ক্রয় করেছে। গায়ের জোরে গাছগুলো কাটছে না। আর আমাদের রাস্তা নির্মাণ কাজও হচ্ছে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোনারুল ইসলাম বলেন, আমার এই ওয়ার্ডের সড়কটির বেহাল দশা।বর্ষাকালে সড়ক দিয়ে লোকজন চলাফেরা করতে পারে না।এর আগে আমি ইউপি চেয়ারম্যানকে রাস্তার বিষয়ে অনেক বার বলেছি।কোন গুরুত্ব দেয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের নিকট বিষয়টি আবারও জানাবো, দেখি কি হয়?
এবিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমান বলেন, চাটশাল পাকা রাস্তার মোড় থেকে শিবরামপুর গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি পাকা করণের খুবি জরুরি। বর্ষাকালে কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলের খুবি অসুবিধা হয়।তবে রাস্তার দু'পাশের গাছগুলো সমস্যার সৃষ্টি করেছে।গাছগুলোর মালিক ইউনিয়ন পরিষদ ও উপকার রোগিদের।এর আগের ইউএনও গাছগুলো কাটার জন্য টেন্ডার দিয়েছিলেন।কিন্তু উপকার ভোগির সাধারণ সম্পাদক এবিষয়ে আদালতে মামল করে।যার কারণে গাছগুলো কাটা বন্ধ হয়ে যায়। তবে বর্তমান এখানে অনেকটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।উপকারভোগির সাধারণ সম্পাদক যদি মামল তুলে নেয়, তাহলে পুনরায় টেন্ডার দিয়ে গাছগুলো কাটা হবে।