বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪
22 Nov 2024 01:45 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ- জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার সীমানা দিয়ে বয়ে গেছে মচ্চ নদী।নড়বড়ে এই সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে হাজারও মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষে যাওয়া প্রায় ৪০ বছরের পুরানো গনকপাড়া গ্রাম সীমানা সংলগ্ন মচ্চ নদীর অলিরঘাট নদীর ঘাট থেকে ঘাটের কিনারা অনেক উচু হওয়ায় নদী পারাপারে রিকশা-ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে না।এ কারণে পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া, জাফর, মুংলিশপুর, পালপাড়া, শীলপাড়া, জাইতরসহ বিভিন্ন পেশা-শ্রেণির মানুষ এপার থেকে ওপারে চলাচলের জন্য তাদের শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া পারাপারে ভোগান্তির যেন শেষ নেই। দেখা গেছে সাঁকোতে উঠলে অনেকের ভয়ে কাঁপে বুক।
ভুক্তভোগীরা জানায়, নদীর পানি শুকিয়ে গেলে চলাচলের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয় এবং নদীতে পানি বেড়ে গেলে পারাপারের জন্য নৌকার কোনো ব্যবস্থা থাকে না। তখন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়।এখানে প্রতিদিন যাতায়াত করা স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চলাচল করে থাকেন এই অলিরঘাট দিয়ে।বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও আজও একটি সেতু নির্মাণ হয়নি। এ ভোগান্তি যেন পথচারীদের নিত্যদিনের সঙ্গী।
স্থানীয় বাসিন্দা আলম জানান, গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ পার্শ্ববর্তী ঘোড়াঘাট ব্যবসা বাণিজ্য ও হাট-বাজার করে।তারা অন্য ঘাট দিয়ে পার হয়ে গিয়ে দুপুরে বাড়িতে যখন আসে তখন নদীর ওই পারে গাড়ি, সাইকেল রেখে আসতে হয়।শুকনা মৌসুম বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে পারাপারের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অনেক সমস্যা পোহাতে হয়।এখানে একটি সেতু নির্মাণ খুব দরকার।
এই এলাকার মানুষের পারাপারে জন্য একটি সেতু নির্মাণ করা হলে সবার উপকার হবে।তখন আর কারও সমস্যায় পড়তে হবে না। মানুষের যাওয়া আসা অনেক সহজ হবে বলে জানালেন কিশোরগাড়ী ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন।এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনা স্থল খতিয়ে দেখে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।