বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪
25 Nov 2024 12:19 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- পিছিয়ে থেকে ফিরতি লেগ খেলতে নামা পিএসজি ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে সেভাবে আক্রমণে মেলে ধরতে পারল না। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের রক্ষণভাগও ছিল আটঁসাট। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সুযোগ কাজে লাগাল সেই ডর্টমুন্ডই। শেষ দিকে একের পর এক প্রচেষ্টাতেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পেল না পিএসজি।
কখনো প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ আবার কখনো বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় পোস্ট। ম্যাট হামেলসের করা গোলের সেই লিড শেষ পর্যন্ত ধরে রেখে দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ তে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পৌঁছে গেছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ২০১২-১৩ সালের পর এই প্রথম ইউরোপ সেরার ফাইনালে জার্মান ক্লাবটি। সবমিলিয়ে তৃতীয়বার ফাইনালে খেলবে তারা।
প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতলেও এদিন নির্ভার থাকার সুযোগ ছিল না ডর্টমুন্ডের। কেনোনা ঘরের মাঠে পিএসজি বরাবরই বিপদজনক দল। কিন্তু স্বাগতিক দর্শকদের সামনে প্রথমার্ধে সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। দলটির সেরা তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেও জ্বলে উঠতে পারেননি।
বরং বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের রক্ষণভাগ ছিল জমাট।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ডর্টমুন্ডের ওপর চড়াও হয় পিএসজি। সুযোগও তৈরি করে স্বাগতিকরা। কিন্তু জাইরে এমেরির প্রচেষ্টা পোস্টে লেগে ফিরলে ম্যাচে ফেরা হয়নি দলটির। উলটো তিন মিনিট পরই পার্ক দ্য প্রিন্সেস স্তব্ধ করে ফিরতি লেগেও লিড পেয়ে যায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
জুলিয়ান ব্রান্ডের কর্নারে লাফিয়ে হেডে জাল খুঁজে নেন ম্যাট হামেলস। দুই লেগ মিলিয়ে তাতে জার্মান ক্লাবটি এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে।
পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য জোর চেষ্টা চালায় পিএসজি। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকেন এমবাপ্পে-হাকিমিরা। ৬১ মিনিটে আরেকবার পোস্ট বাঁধা হয়ে দাড়ালে হতাশা বাড়ে পিএসজি শিবিরে। বক্সের বাইরে থেকে নুনো মেন্দেসের জোরাল শট সাইড পোস্টে লেগে বাইরে চলে যায়।
শেষ দিকে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিতিনিহার আরও দুটি প্রচেষ্টা পোস্টে লেগে ফিরলে হতাশার হার সঙ্গী হয় পিএসজির। আর জমাট রক্ষণ ও সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ড পা দেয় চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে।