মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
01 Apr 2025 08:53 pm
![]() |
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার নয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হল।অনেকটা শ্রুতিকটু হওয়ায় ৩ এপ্রিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসব নাম পরিবর্তন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে, ফুলছড়ি উপজেলার ‘গলাকাটি’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হয়ে ‘আনন্দ বাজার’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ‘পাগলার চর’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিবর্তন হয়ে ‘ভোরের পাখি’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ‘নাপিতের হাট’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিবর্তন হয়ে ‘থানাপাড়া আদর্শ’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ‘বাজে ফুলছড়ি’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিবর্তন হয়ে ‘চর ফুলছড়ি’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ‘কঞ্চিপাড়া ১নং’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হয়ে ‘কঞ্চিপাড়া আদর্শ’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ ছাড়া গাইবান্ধা সদর উপজেলার ‘পঁচারকুড়া’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হয়ে ‘গিদারী কৃষ্ণচূড়া’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ‘বাজে চিথুলিয়া’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিবর্তন হয়ে ‘পশ্চিম চিথুলিয়া’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ‘ধুতিচোরা’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিবর্তন হয়ে ‘রহমাননগর’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ‘পূর্ব ধুতিচোরা’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হয়ে ‘গিদারী আনন্দনগর’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা-২০২৩ জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়টির বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন
নীতিমালা-২০২৩ এর সংশ্লিষ্টরা সে সময় বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক ভাবার্থ সংবলিত।
বলা হয় প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে শিশুদের বুনিয়াদি শিক্ষা। শিশুদের শিক্ষাজীবনের প্রথম ধাপের সেই বুনিয়াদি শিক্ষাঙ্গনের নাম যখন হয় ‘গলাকাটি’ ‘ধুতিচোরা’, ‘পাগলার চর’ এর মতো নাম, তখন স্বাভাবিকভাবেই নানাভাবে ট্রলের শিকার হয় ওই বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা। যেখানে শিক্ষাজীবনের প্রথম সিঁড়িতেই শিশুদের মনে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা বোরহানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাজাদী হাবিবা সুলতানা বলেন, এমন কিছু বিদ্যালয়ের নাম আছে যেসব নাম উচ্চারণ করতেও মুখে বাধে। প্রতিনিয়তই শিশুরা ওইসব নাম নিয়ে ট্রলের বা ঠাট্টার শিকার হয়।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বেলাল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ফুলছড়ি উপজেলার পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পাল্টেছে। পাল্টে যাওয়া নামগুলো ছিল শ্রবণকটু। যা শিশুদের মনে খারাপ প্রভাব ফেলত।
গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, অর্থহীন বা বিদঘুটে নামগুলো থেকে উদ্দীপনা বা অনুপ্রেরণা পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। যার কারণে মানুষ সন্তানের জন্য খুঁজে খুঁজে উজ্জ্বল-সুন্দর এবং অর্থপূর্ণ নাম রাখেন বা ইতিহাসে যেসব নাম উজ্জ্বল বা সমৃদ্ধ সেসব নাম রাখার চেষ্টা করেন। একইরকম বিদ্যালয়গুলোর নামের বেলাতেও।