রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৪
22 Nov 2024 08:57 am
সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম;-কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে আবারও মৃদ্যু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মাঘের শুরুতে ঘনকুয়াশার সাথে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। গত দুইদিন তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও রোববার কমে দাড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। এ কারণে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ। গত বৃহস্পতিবার হিমাঙ্কের পারদ ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস এ নামায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আনুষ্ঠানিক ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নোটিশ জারি করা হয়। নোটিশে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা বলা হয়।
রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশী ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
দিনের অধিকাংশ সময় সুর্য্যের দেখা মিলছে না। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্য কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হচ্ছে। গরম কাপড়ের অভাবে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, শীত নিবারনে জেলার ৯টি উপজেলায় প্রায় ৭০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের হালিমা বেগম নামের এক নারী বলেন, "এতো ঠান্ডা যাবাইছে কাউও এলাও কম্বল দেয় নাই। খুব একটা সমস্যাত আছি। এই সময়োত কম্বল পাইলে হামার খুব উপকার হইবে বাহে।"
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এ রকম তাপমাত্রা আরও দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, শৈত্য প্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত এ নির্দেশ অব্যাহত থাকবে।তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রীর উপরে উঠলে পরবর্তী নতুন নির্দেশনা দেয়া হবে।