বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৪
22 Nov 2024 12:20 pm
৭১ভিশন ডেস্ক:- সন্তান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। সন্তানের মায়া মমতাই মানুষকে শান্তি দেয়। সন্তানের ভালোবাসায় বাবা-মা সব ত্যাগ স্বীকার করেন। সন্তান লালন-পালনে সঠিক ও শরয়ি পদ্ধতি অবলম্বন না করলে বিপদ হতে পারে। সন্তানই আপনার অশান্তির কারণ হয়ে যেতে পারে।
ছোটবেলা থেকেই সন্তানের লালন-পালনে যত্নবান হওয়া উচিত। কোরআন হাদিস থেকে প্যারেন্টিং শেখা উচিত। সন্তানের বিছানা আলাদা কখন করবেন, এ বিষয়ে বাবা-মা চিন্তিত থাকেন।
"হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী সন্তানের বয়স দশবছর হলে তাকে পৃথক বিছানায় বা আলাদা করে শোয়ানোর ব্যবস্থা করা জরুরি। এ বয়সের পর একসাথে থাকা যাবে না কোনোভাবেই। যখনই সাত বছর হয়ে যাবে, তখন থেকেই থাকে আলাদা থাকার বিষয়ে তাগিদ ও ব্যবস্থাপনা করতে হবে। প্রথমে বাবা-মায়ের রুমে ছোট একটি খাটের মাধ্যমে তাদের শোয়ার ব্যবস্থা করবে। পরে আস্তে আস্তে আলাদা রুমে শিফট করবে। এভাবে আলাদা বিছানায় রাখবে"।
দশ বছর বয়সের পর যদিও বাবার সাথে ছেলের ও মায়ের সাথে মেয়ের শোয়ার অবকাশ আছে। তবে এক্ষেত্রেও আলাদা থাকার সুযোগ থাকলে একসাথে থাকা উচিত নয়।
কিছু বর্ণনায় সাত বছরের কথাও এসেছে। সেই হিসেবে সাত বছর বয়স হলেই বিছানা পৃথক করা সতর্কতা। তবে সর্বোচ্চ দশ বছর পর্যন্ত অবকাশ আছে। দশ বছর হয়ে গেলে বিছানা পৃথক করা ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকার পরেও তা না করলে গুনাহ হবে। আমাদের সমাজের অনেকেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয় না যা সরাসরি সুন্নাহ পরিপন্থি।
হযরত আমর ইবনু শুআইব রহ. থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের সন্তানদের বয়স সাত বছর হলে তাদেরকে নামাজের জন্য নির্দেশ দাও। যখন তাদের বয়স দশ বছর হয়ে যাবে তখন (নামাজ আদায় না করলে) এজন্য তাদেরকে মারবে। তাদের ঘুমের বিছানা আলাদা করে দিবে। (সুনানে আবু দাউদ ৪৯৫, মুসনাদে আহমাদ ৬৬৮৯, সুনানে দারা কুতনি ৮৮৮)
হযরত আব্দুল মালিক বিন রাবি বিন সাবরাহ পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন সন্তানের বয়স সাত বছর হয়, তখন তার বিছানা আলাদা করে দাও। (সুনানে দারা কুতনি ৮৮৬, মুস্তাদরাক আলাস সহিহাইন ৭২১)