শনিবার, ০৬ জানুয়ারী, ২০২৪
22 Nov 2024 04:29 am
শিল্প সাংস্কৃতিঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন নাট্যোৎসব লিয়াকত আলীর ভাবনায় ও পরিকল্পনায় সারাদেশে একযোগে নাটক বগুড়ায় দুদিন ধরে মঞ্চায়নে ধারাবাহিকতায় বগুড়ায় দুদিন ধরে মঞ্চায়ন হলো নাটক জননীরে বেশে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি বগুড়ার ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গ্রæপ থিয়েটার ফেডারেশনের সার্বিক সহযোগিতায় ও নান্দনিক নাট্যদলের পরিবেশনায় গত বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় নাটকটি চকলোকমান উল্কা ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘের মাঠে নাটকটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এরপর বেলা ৪টায় মালতিনগর এম.এস. ক্লাব মাঠে নাটকটি বগুড়ায় দুদিন ধরে মঞ্চায়ন হয়। শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় এডওয়াড পার্কে নাটকটি পরিবেশিত হয়।
নাটকটির রচনায় ছিলেন আমিনুল হীরা, নির্দেশনায় খলিলুর রহমান চৌধুরী। দুদিন ধরে নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন তাপস কুমার নিয়োগি, বাবলু, রবিউল আলম, প্রশান্ত, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল লতিফ, তানিয়া তানি, সুলতান ও খলিল।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই নাটকে নানাভাবে ও নানা অনুষঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশের নাট্যসাহিত্যকে মহান মুক্তিযুদ্ধ যথেষ্ট প্রভাবিত করেছে।
বাংলাদেশের নাটকে মুক্তিযুদ্ধ, সমকালীন রাজনীতি ও সমাজ-বাস্তবতা বিশেষভাবে স্থান করে নিয়েছে। বাংলাদেশের নাট্যচর্চায় যাঁরা নিবেদিত প্রাণ তাঁদের বিশ্বাসের মর্মমূলে প্রোথিত আছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাঙালি জাতীয়তাবোধ, অসা¤প্রদায়িক চেতনা ও বিশ্বমানবতাবোধ সৃষ্টির একান্ত অনুপ্রেরণা। ম নাটকে প্রতিনিয়ত উঠে এসেছে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার প্রত্যয়। ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে অবলম্বন করে দেশে অনেক নাটক মঞ্চায়িত হয়েছে।
এসব নাটকের কাহিনিতে এসেছে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ, রাজাকার-আলবদরদের সহযোগিতায় পাক বাহিনীর হাতে নারী ধর্ষণ, স্বাধীনতা পরবর্তী রাজাকারদের উত্থান, বাঙালির বীরত্বগাথা, রাজাকার-আলবদর-আল শামস তথা পাকবাহিনীদের হাতে বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ অমানবিক আর নিষ্ঠুরতার নানান চিত্র। এই নাটকেও ঠিক এমন কাহিনী ফুটে তোলা হয়েছে। যা দর্শকরা মনোযোগ দিয়ে উপভোগ করেছেন।