বৃহস্পতিবার, ০৪ জানুয়ারী, ২০২৪
22 Nov 2024 03:20 am
শাহ্ আলী বাচ্চু জামালপুর সংবাদদাতাঃ-জামালপুর - ২ সদর আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদের লাঙ্গল প্রতীকের জয় জয়কার অবস্থা। সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছেন নির্লোভ ও হেভিওয়েট এই প্রার্থী। নির্বাচনের আর মাত্র ৪ দিন বাকি।এরই মধ্যে মোস্তফা আল মাহমুদের লাঙ্গল প্রতিকের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।লাঙ্গল প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছেন জাতীয় পাটি সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থক, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের বড় অংশ, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজসহ বিশাল সমর্থক গোষ্ঠি।মাঠ কাঁপাচ্ছেন এই আসনের ভোটার গণ।জামালপুর - ২ আসনটিতে একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।এই আসনে মোট ভোটারের সংখ্য ১,৮১,২২০ জন, পুরূষঃ ৮৯,৩৩৪ জন, মহিলাঃ ৯১,৮৮৬ জন।
বিপুল সংখ্যক ভোটার অধ্যুষিত এই আসনে স্হানীয় বাসিন্দা, নম্র ভদ্র ও সদালাপী লোক হিসেবে মোস্তফা আল মাহমুদ কে লাঙ্গল প্রতিকে ভোট দিতে আগ্রহী।
অপরদিকে বিভিন্ন কায়দায় নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন লাঙ্গল প্রতীকের বিপুল সংখ্যক সমর্থক। নির্বাচনী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সকলের প্রিয়
মোস্তফা আল মাহমুদ।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের দৃষ্টিতেও রয়েছে তার সুদৃঢ় অবস্থান। তিনি একজন বিশিষ্ট সমাজ সেবক, প্রতিষ্ঠিত ব্যয়সায়ী, ও একজন সংগঠক।তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জামালপুর জেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি।
উপজেলারয় একটি পৌরসভা ও ১২ টি ইউনিয়নের গ্রাম থেকে গ্রামান্তর সবার কাছে তিনি নির্লোভ ও পরোপকারী হিসেবে পরিচিত। মানুষকে সাহায্য সহযোগিতার করায় মোস্তফা আল মাহমুদ নানান কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। তাহার সাথে দলের চেয়ারম্যানরসহ কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের আত্মীয়তার চেয়ে বড় সম্পর্ক। মোস্তফা আল মাহমুদ মরহুম আলহাজ্ব হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের প্রিয় ভাজুন ব্যাক্তি ছিলেন।তাই গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলাম পুরে নির্বাচনী জনসভায় মোস্তফা আল মাহমুদের পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন।
নির্বাচন ঘিরে জাতীয় পার্টি ,সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে চলছে ব্যাপক তোড়জোড়। মোস্তফা আল মাহমুদ কে বিবেচনা করা হচ্ছে জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে।সম্মানজনক ভোট ব্যবধানে লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ বিজয়ী হবেন বলে পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা। সারা বছর ব্যাপী ব্রক্ষ্মপুত্র ও যমুনা নদীর ভাঙ্গন এই উপজেলাবাসীর সবচেয়ে বড় সমস্যা। যমুনা নদী ও ব্রক্ষ্মপুত্র নদের মত বড় দু’টি নদী একটি উপজেলার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় স্বাভাবিক বর্ষায়ও এই উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়, এতে জনজীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ।মানুষের যাতায়াত ও দুর্যোগকালে ত্রাণ পৌছানো ও সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে।মোস্তফা আল মাহমুদ বন্যার সময় গলা পানিতে নেমে ভানবাসি মানুষের পাশে দাড়ান। অবহেলিত নদী ভাঙ্গন ইসলাম পুর উপজেলাবাসীর উন্নয়নে সর্বস্তরের ভোটাররা লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে একজোট হয়েছেন। ভোটারদের মতে, কাঙ্খিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে সর্বস্তরের মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে
পারবেন একমাত্র মোস্তাফা আল মাহমুদ। যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসেবে ভোটাররা তাকেই বেছে নিয়েছেন। জনগণের মনোনীত জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদকে লাঙ্গল প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করার অঙ্গিকার করেছেন।এই প্রতিবেদক কে তিনি বলেন, ইসলাম পুর উপজেলাবাসীর উন্নয়নে কেউ কথা রাখেনি। চর, নদী ভাঙা গ্রামাঞ্চলের সড়ক ব্যবস্থা নেই বললেই চলে যেটুকু আছে খুবই নাজুক। এলাকাবাসী অনেক কষ্ট করে চলাফেরা করেন। তাদের দুঃখ-দুর্দশা নিরসনে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিবো। ইসলামপুরের অর্থনৈতিক জুন চালু করার পরিকল্পনা আছে। এতে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি হাজার হাজার পরিবারের আয় বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করবো।
সরজমিন ঘুরে জানা যায়, ইসলামপুরে বিএনপি সমর্থিত ভোটাদের
অধিকাংশ মোস্তফা আল মাহমুদের
লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড,আনিছুর রহমান মানিক, জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহামুদুল্লাহ, ইসলামপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি জুয়েল সরকার, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান বিপু ,নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মশিউর রহমানসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা ব্যাপকভাবে গণসংযোগ চালাচ্ছেন।
অন্যদিকে উপজেলা যুব সংহতির, তরুণ পাটি, কৃষক পাটি, স্বেচ্ছাসেবকপাটি, জেলা ও পৌরসভা মহিলা জাতীয় পার্টি, জাতীয় ছাত্র সমাজসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা জনপ্রিয় প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদের লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে নিরলস ভাবে কাজ করছেন।এই আসনের নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মধ্যে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে কারন দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায়।
এজন্য অনেকের মতে, মোস্তফা আল মাহমুদ যোগ্য ও শক্তিশালী প্রার্থী। তিনি বিজয়ী হয়ে জাতীয় পার্টি কে ইসলামপুর আসন উপহার দিতে পারবে বলে অনেকের বিশ্বাস। মোস্তফা আল মাহমুদ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন,মাদ্রাসা -মসজিদ এর ধর্মীয় অনু্ষ্ঠান, করোনা কালিন সময়ে নিজের জীবনকে বাজি রেখে অসহায় মানুষের পাশে সক্রিয় ভুমিকা গ্রহণ ও বানবাসি, নদী ভাঙা মানুষের পাশে সাহায্য সহযোগিতা ভূমিকা রাখার কারণেও তিনি সকলের কাছে জনপ্রিয়। মূলত এসব কারণেই সাধারণ ভোটার ও সমর্থকরা তাঁর পক্ষ নিয়েছেন। নির্বাচন বিশ্লেষকরা জানান, গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার প্রশ্নে জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ
শক্তিশালী প্রার্থী। মরহুম আলহাজ্ব হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের আদর্শের সৈনিক এ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন, দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে একজন সফল নেতা।
অবহেলিত নদী ভাঙ্গন ইসলামপুর উপজেলাকে আধুনিক ও সমৃদ্ধশালী হিসেবে গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ইসলামপুরবাসীর সেবা করতে চান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখতে চান। মোস্তফা আল মাহমুদ নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে আপেসহীন। আলোচনা-পর্যালোচনা ও নির্বাচনী জল্পনা-কল্পনায় তাকে জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে ধরে নিয়ে চলছে সরগরম প্রচারণা। তার ব্যক্তি ইমেজ নিয়েই নির্বাচনী প্রচারণা দানা বেঁধে উঠেছে।
দলমতের উর্ধ্বে সাধারণ মানুষের কাছে মোস্তফা আল মাহমুদ ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। সততা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও দায়িত্বশীলতা ছাড়াও উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি প্রতিশ্রুতিশীল। নির্লোভ ও পরোপকারী মোস্তফা আল মাহমুদের বিজয় ইসলামপুরবাসীর নিকট নিশ্চিত।