শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
17 Jul 2025 02:54 pm
![]() |
হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ- দিনাজপুরের হিলিতে অটোতে মাইকিং করে পোলাওয়ের বিক্রি করা হচ্ছে। ১ কেজি পোলাওয়ের ৮০ টাকা আর আড়াই কেজি নিয়ে ২০০ টাকা। বিক্রিও হচ্ছে ভাল। সুগন্ধি এই চাল কিনতে অনেকে ভির করছেন চাল বিক্রি করা অটোর সামনে।
শনিবার ( ১৬ সেপ্টেম্বর) হিলি স্টেশন রোডে এই চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতরা বলেন, তারা নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থেকে এসব চাল নিয়ে এসে হিলিতে বিক্রি করছেন। আর বিক্রেতরা বলছেন, বাজারের চেয়ে এখানে দাম একটু কম তাই তারা এই ভ্রাম্যমান পোলাওয়ের চাল বিক্রেতার কাছ থেকে চাল কিনছেন।
চাল কিনতে আসা মো, এনামুল হক বলেন, এই চাল হিলি বাজারে কিনতে গেলে ১০০ টাকার নীচে মিলবে না। আর এখানে ৮০ টাকা কেজি। তাই ২০০ টাকা দিয়ে আড়াই কেজি পোলাওয়ের চাল কিনলাম। চালের মানও মোটামোটি ভাল। আত্মীয় স্বজন বাড়িতে এলে আপ্যায়ন করা যাবে।
অপর ক্রেতা মো. আজিজুল হক বলেন, আমি মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। হিলি বাজারে ১০০ টাকা কেজির নীচে কোনো পোলাওয়ের চাল পাওয়া যায় না। আবার এমন সময় আত্মীয় স্বজন আসে। তখন হয়তো হাতে টাকা থাকে না। তাই যেহেতু মাংকিং করে বিক্রি করছে। দামও বাজারের চেয়ে কেজিতে ২০ টাকা কম। তাই ৪০০ টাকা দিয়ে ৫ কেজি কিনে রাখলাম। বিপদের সময় কাজে দিবে।
অটোতে করে চাল বিক্রি করতে আসা আব্দুর রউফ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আমরা নওগাঁর মহাদেবপুর থেকে সারা রাস্তায় চাল বিক্রি করতে করতে হিলিতে এসেছি। আমাদের পোলাওয়ের চাল প্যাকেটজাত। প্যাকেট খুলেই খচুরা বিক্রি করছি। যে যার সাধ্যমতো ১ কেজি থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত চাল কিনছেন। আমরা খুব একটা বেশি লাভ করি না। অটো ভাড়া বাদ দিয়ে সারাদিনে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাভ থাকে। তা দিয়ে সংসার চালাই। কোনো কোনো বেশি আবার কোনো কোনো দিন কমও লাভ হয়।
আব্দুর রউফ আরও বলেন, এক জায়গা বসে বিক্রি করলে বাঁকি পড়ে। তাই অটোতে করে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করলে- আর বাঁকি পড়ে না। কারণ সাবই অপরিচিত। এ কারণে ঘুরে ঘুরে চাল বিক্রি করি।
মোকছেদুল মমিন মোয়াজ্জেম