মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০২৩
21 Nov 2024 05:06 pm
[ঢাকা, ২৬ জুন, ২০২৩] ওয়াটারএইড বাংলাদেশ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-এর সার্বিক সহযোগিতায়, বাংলাদেশে কিশোরীদের মাসিক স্বাস্থ্য ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কিত গবেষণা বিষয়ে ২৫ জুন ২০২৩ রবিবার সকাল ১০টায় সিরডাপ মিলনায়তন, ঢাকায় একটি অবহিতকরণ কর্মশালা আয়োজন করেছে।
ওয়াটারএইড বাংলাদেশ, বার্নেট ইনস্টিটিউট-অস্ট্রেলিয়া, জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং সহযোগী সংস্থা নবলোক যৌথভাবে এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
নীতিগত পর্যায়ে ও সামাজিক চর্চার ক্ষেত্রে নারীদের মাসিক স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে সচেতনতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সম্পর্কিত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জকে ঘিরে কোয়ালিটেটিভ গবেষণালব্ধ তথ্য থাকলেও কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও সামাজিক পরিস্থিতির ওপর মাসিক স্বাস্থ্যের প্রভাব প্রসঙ্গে সম্যক তথ্য-প্রমাণের স্বল্পতা রয়েছে। ‘দ্য অ্যাডোলেসেন্ট মেন্সট্রæয়াল এক্সপেরিয়েন্সেস অ্যান্ড হেলথ কোহর্ট (এএমইএইচসি)’ শীর্ষক এই গবেষণায় সময়ের সাথে সাথে মাসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক চাহিদার পরিবর্তন চিহ্নিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। গবেষণাটির লক্ষ্য ছিল কিশোরীদের অপূরণীয় মাসিক স্বাস্থ্য চাহিদার প্রভাব বিষয়ে স্পষ্টতা তৈরি করা ও শিক্ষার সাথে এর পারস্পরিক সম্পর্ক যাচাই করা।
গবেষণাটির অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল কিশোরীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের ওপর মাসিক স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত ভিন্ন ভিন্ন সমস্যার প্রভাব বিষয়ে ধারণা গঠন করা। এ সম্পর্কে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, “কিশোরীরা শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, এমনকি শিক্ষাগত পারফর্ম্যান্সের ক্ষেত্রে মাসিকের সাথে সম্পর্কিত অব্যবস্থাপনার কারণে উদ্ভূত নানা ধরণের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়। গবেষণাটি কিশোরীদের জীবনে মাসিক সম্পর্কিত নানারকম প্রতিবন্ধকতার প্রভাব বিষয়ে গভীর ধারণা লাভের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এই গবেষণা প্রকল্পের মধ্য দিয়ে আমরা মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্নতি করার বিষয়ে তথ্য-নির্ভর নির্দেশিকা লাভ করব”।
গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য বেসরকারি সংস্থাগুলোকে কিশোরীদের জন্য বয়স-ভিত্তিক উপযুক্ত শিক্ষা ও কৈশোরকালীন সুস্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিতে কর্মসূচি গ্রহণ করতে সহায়তা করবে।
এ বিষয়ে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বলেন, “এই কোহর্ট গবেষণার মাধ্যমে বিশেষত জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অ লের কিশোরীদের মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নত অভ্যাস চর্চা বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করছি”।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. বেলায়েত হোসেন তালুকদার, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেন, “এই প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত ফলাফল মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে নতুন নীতি নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করবে বলে আমরা আশাবাদী”।