শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩
22 Nov 2024 01:16 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- জিলহজ মাসের ১০ তারিখে বিশ্বের মুসলমানরা তাদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপন করেন। এই উৎসবে পশু কোরবানি দেওয়া হয়, যার মধ্য দিয়ে নিজের ভেতরের কলুষতাকে বর্জন এবং সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভই ইসলামের শিক্ষা।
উল্লেখ্য, জিলহজ মাসের চাঁদ বাংলাদেশে দেখা যাওয়ায় কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে আগামী ২৯ জুন (বৃহস্পতিবার)।
আর তাই সব কোরবানিদাতাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়-
১০-১৫ মিনিট সময় বাঁচাতে গিয়ে আমাদের করা ছোট্ট একটি ভুলের কারণে সম্পূর্নরুপে বাতিল হয়ে যেতে পারে আমাদের অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে আদায়কৃত আল্লাহর মহান হুকুম কোরবানি।
পশু জবেহ সম্পন্ন হবার পর, একটি ছোট তীক্ষ্ণ ছুড়ি দ্বারা জবেহের স্থানে খোঁচা দেওয়ার একটা সিস্টেমের সঙ্গে আমরা কমবেশি প্রায় সবাই পরিচিত। আমাদের অনেকেরই ধারনা এই কাজটার মাধ্যমে পশু দ্রুত মারা যায় এবং কষ্ট কম পায়।
এই ছোট্ট একটা ভুলই আমাদের কোরবানি বরবাদ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
পশু জবেহ সহিহ হওয়ার শর্তগুলো হলো-
পশুর অন্তত মূল তিনটি রগ কেটে দেওয়া। আর মূল তিনটি রগ কেটে দিলে, রক্তক্ষরণের স্বাভাবিক ফলস্বরুপ পশুটি খুব দ্রুত মারা যায়।
আমরা একটু অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে পশুটার মেরুদণ্ডের ভেতর তীক্ষ্ণ ছুড়ি ঢুকিয়ে ‘মেরুরজ্জু বা স্পাইনাল কর্ড’ বিচ্ছিন্ন করে দ্রুত মেরে ফেলার চেষ্টা করি। স্পাইনাল কর্ড বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে পশুর মস্তিষ্ক, দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আর এর ফলে পশুটি হার্ট এটাক করে এবং মারা যায়।
অনেক সময় এভাবে দ্রুত পশুটিকে শান্ত করতে গিয়ে, কোরবানির উদ্দেশ্যে ব্যহত হয় এবং পশুটি জবেহ না হয়ে ‘হত্যা’ হিসেবে পরিগণিত হয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও এই পন্থা অত্যন্ত গর্হিত এবং বিপদজনক। স্পাইনাল কর্ড কেঁটে গেলে পশুর দেহের মাংশপেশিতেই রক্ত জমাট বেঁধে যায় এবং ফলশ্রুতিতে গোশত দূষিত হয়ে পরে। এই গোশত ভক্ষনে ক্যান্সার, এইচবিএএস-সহ অন্তত ১৮ প্রকার জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
এতএব, কোরবানিদাতাসহ সবার নিকট বিনীত অনুরোধ, ১০-১৫ মিনিট সময় বাঁচাতে গিয়ে দয়া করে আপনার কোরবানিকে বরবাদ করে দেবেন না।
ইয়া আল্লাহ! মুসলিম উম্মাহকে সঠিক পদ্ধতিতে কোরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ডেইলি-বাংলাদেশ