সোমবার, ০৫ জুন, ২০২৩
24 Nov 2024 06:11 am
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- মালয়েশিয়া প্রবাসী স্বামী মোঃ সাদ্দাম হোসেন সাথে অনলাইনে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলার নগ্ন ভিডিও নিজেই ধারণর করে নিজের প্রবাসী স্বামীকে মেসেজ পাঠিয়ে বলেন আমাকে টাকা না দিলে আমি তোর নগ্ন ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতিনিয়ত ব্ল্যাকমেইল করতেন স্ত্রী রাবিয়া।
প্রতিনিয়ত ব্ল্যাকমেইল করে মালয়েশিয়া প্রবাসী স্বামীর পাঠানো ৪ লাখ টাকা আত্মসাত করে বেপরোয়া জীবনযাপন করে আসছেন স্ত্রী রাবিয়া। মালয়েশিয়া প্রবাসী স্বামী একাধিক সূত্রে জানতে পায় তার স্ত্রীর একাধিক পরপুরুষের সাথে অবৈধ পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে।
মালয়েশিয়া প্রবাসী মোঃ সাদ্দাম হোসেন জানান, আমার বিয়ের পরে আমি জানতে পারি যে আমার স্ত্রীর আমার আগে আরো ৩টি স্বামী রয়েছে। পূর্বের স্বামীরা হলেন- (১) মো. সোহেল, (২) মো. রনি, (৩) মো. ছানাউল।
স্ত্রীর প্রতারণার এসব খবর শুনতে পেয়ে মালয়েশিয়া প্রবাসী মোঃ সাদ্দাম হোসেন দিশেহারা হয়ে পড়েন। মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী রাবিয়া বেগম এর পরকীয়া প্রেমিকের সাথে অস্লিন ভাষায় কথা বলার একটি ফোণ রেকডিং শুন্তে পায় সাদ্দাম হোসেন। রেকডিং এ রাবিয়া বলেন আমার স্বামী সাদ্দাম না । তার সাথে আমার শুধু মাত্র বিয়ের কাবিন করা হয়েছে। আর কাবিনে শুধু মাত্র আমার স্বাক্ষর আছে সাদ্দাম এর কোন স্বাক্ষর নাই।
রাবিয়া আরো বলেন আমি তোর লগে ছানাউল ও রনির সাথে হুইছি কিন্তু ছানাউল সেউ লেভেল এর মাল অর সাথে বিয়া বইতাম আর ও আমারে বিয়া করতো কিন্ত অর বাড়িডা দূরে দেইখা বাইচা গেছি। আমার স্বামীর নাম ছানাউল হে এই আমার স্বামী আর সাদ্দাম আমার স্বামী না ।
প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেইল এর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য প্রতারণা কারী রাবিয়াকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলে তিনি রেগে যায় এবং বলেন প্রতারণা, বিয়ে ও পরকীয়া এটা আমার পেশা। আপনারা যা পারেন তা করেন। এবিষয়ে আমাদের এলাকায় আসলে হাত-পা নিয়ে ফিরে যেতে পারবিনা বলে জাতীয় দৈনিক তৃতীয় মাত্রার সাংবাদিক খোকন হাওলাদারকে হুমকি প্রদান করেন মালয়েশিয়া প্রবাসীর পরকীয়া স্ত্রী রাবিয়া ও আবু কালাম।
প্রতারণা কারী রাবিয়া কিশোরগঞ্জের মৃত মোঃ কাছেম আলীর মেয়ে, মাতাঃ মোছা. সাহেরা বেগম, বড় ভাই জেল খাটা হাজত বন্দি বিদেশ ফেরত মোঃ আবু কালাম তারা পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দুর ইউনিয়ান ও জামালপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মালয়েশিয়া প্রবাসী স্বামীকে ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নেওয়া ৪ লাখ টাকার বিষয়ে এগারসিন্দুর ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার শিরিনা বেগমকে জানানো হলে তিনি বলেন আমি বিষয়টি দেখছি যে ভাবে এই হোক না কেন আমি সমস্য সমাধান করে দিবো।
প্রতারণার বিষয়ে জানার জন্য একাধিক বার রাবিয়ার ভাই জেল খাটা হাজত বন্দি বিদেশ ফেরত মোঃ আবু কালাম এর সাথে মুঠো ফোণের মাধ্যে যোগাযোগর জন্য চেষ্টা করিলে আমাদের ফোণ তুলছেনা তিনি। এক পযায় গিয়ে রবিবার (৪ জুন) বিকালে অনলাইন ইমুর মাধ্যমে কথা হয় আবু কালাম এর সাথে। রাবিয়ার বিষয়ে জান্তে চাইলে তিনি আমাদের সাথে উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বলেন প্রশাসন, এপি, চেয়ারম্যান ও মেম্বার এদের'কে আমি ভয়পাইনা ওরা আমার কোন বালটা ছিরবে। আরো বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি।
তিনি বলেন আমার বোনের অশ্লীল ভিডিও দিয়ে তোরা ব্যবসা কর ও তোদের মা-বোনদেরকে দেখা। আমার বোনের সাথে সাদ্দাম এর সাথে কোন বিয়ে হয়নি। সাদ্দাম আমার বোনকে মাসে মাসে চলার জন্য টাকা পাঠাতো । তিনি আরো বলেন আমরা সাদ্দামের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা নেইনি ও আমার বোনকে মাসে মাসে চলার জন্য ১ লাখ টাকা দিয়েছে।
আবু কালাম আরো বলেন তুই আমার বোনকে ফোন দিয়ে তথ্য জানতে চাও এত বড় সাহস কে দিছে তোকে। আমি তোর নামে থানায় মামলা করবো। আমার বোন যার সাথে যাই করুক তাতে তোর কি? তোর সাথে কি কোন ধরনের প্রতারনা বা অশ্লীল কাজ করছে।
এবিষয়ে এগারসিন্দুর ইউপি চেয়ারম্যান নূরুজ্জামান মিয়ােকে জানালে তিনি বলেন আমি মেম্বার শিরিনার সাথে কথা বলে বিষয়টি দেখবো।