শনিবার, ০৮ এপ্রিল, ২০২৩
29 Nov 2024 03:30 pm
নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরের লালপুরে বাণিজ্যিকভাবে তেলজাতীয় ফসল সূর্যমুখীর চাষ শুরু হয়েছে। অনুুকুল আবহাওয়া ও নিবির পরিচর্যায় চলতি মৌসুমে সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনের আশ করছেন চাষীরা। পুষ্ঠিগুন সমৃদ্ধ সূর্যমুখী চাষে সরকারী পৃষ্টপোষকতা ও বাজারে এর চাহিদা ও দাম ভালো পেলে কৃষকরা লাভবান হবেন পাশাপাশি এই ফসলের চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানান কৃষকরা।
লালপুর উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, ‘চলতি মৌসুমে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় লালপুর উপজেলায় সূর্যমুখীর বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে। এবার উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে ১ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। অনুকুল আবহাওয়া ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে সূর্যমুখীর আশানুরূপ ফলন হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের কলসনগর মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ পাতার মাঝে শোভা ছড়াচ্ছে হলুদ সূর্যমুখী ফুল। ইতিমধ্যে সূর্যমুখীর বীজ সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। চারিদিকে সবুজ আর হলুদ মিলে এক মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সূর্যমুখীর সুন্দর্য উপভোগ করতে ও ফুলের সঙ্গে নিজেকে মেলে ধরতে সূর্যমুখীর বাগান গুলিতে ভীড় জমাচ্ছে দর্শনার্থীরা।
এসময় কথা হয় সূর্যমুখী চাষী আরিফুল ইসলামের সঙ্গে তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে বিনামূল্যে বীজ নিয়ে এই প্রথম তিনি দেড় বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। নিবির ভাবে পরিচর্যায় করায় এবং রোগবালাই কম হওয়ায় ফলন ও আশানুরূপ হয়েছে। অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষে খরচ কম লাগে। তার জমিতে সূর্যমুখী চাষ করতে খরচ হয়েছে ১২ হাজার টাকা। এই জমি থেকে ৮-১০ মণ সূর্যমুখীর বীজ পাওয়া আশা করছেন তিনি। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১৫-২০ হাজার টাকা। বাজারে সূর্যমুখীর চাহিদা ও দাম ভালো পেলে আগামীতে আরো বেশি জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করবেন বলে জানান তিনি।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভোজ্যতেলের আমদানি কমাতে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় চলতি মৌসুমে উপজেলায় এক হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন হবে বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগ। শুধু সূর্যমুখীই নয় ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় সরিষা ও তিল চাষও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আগামীতে উপজেলায় ব্যাপক ভাবে সূর্যমুখীর চাষ হলে উপজেলায় ভোজ্যতেলের চাহিদা অনেক অংশে মিটবে মনে করছেন এই কর্মকর্তা। এজন্য মাঠ পর্যায়ে তেলজাতীয় ফসল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে প্রশিক্ষণ ও মাঠ দিবস করা হচ্ছে।’
মো. আশিকুর রহমান টুটুল