শুক্রবার, ০৭ এপ্রিল, ২০২৩
22 Nov 2024 07:15 am
শাহ্ আলী বাচ্চু জামালপুর প্রতিনিধি:- রান্নায় জ্বালানি কাজে ব্যবহার করা ও ভূট্রার জমিতেই পরিতক্ত অবস্থায় ফেলে দেওয়া সেই ভুট্টা গাছ থেকে তৈরি হচ্ছে উৎকৃষ্ট মানের গো-খাদ্য। যা গো-খাদ্য সংকট সমাধানসহ ভুট্টা চাষির দ্বিগুণ লাভের পথ দেখছেন।
এবার তাই ভুট্টা চাষে লাভের মূখ দেখছে জামালপুর জেলার ইসলামপুরের ভুট্টা চাষিরা।
ইসলামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলায় প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। ফলে প্রতি বছর জেলায় ভুট্টা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছর গত বছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে।
এ বছর ভুট্টার বাম্পার ফলন ও ভালো দামের পাশাপাশি ফেলে দেওয়া ভুট্টা গাছ থেকে উৎকৃষ্ট মানের গো-খাদ্য তৈরি করা হচ্ছে। যা ভুট্টা চাষীদের অতিরিক্ত লাভের পাশাপাশি ডেইরি খামার মালিক বা যারা গরু পালন করেন তাদের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
চাষীরা এক সময় ভুট্টার গাছ আগুনে জ্বালিয়ে দিতেন অথবা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করতেন। এখন ভুট্টা গাছ আর জ্বালানি বা ফেলানীর কোনো বস্তু নয়। ভুট্টা গাছ থেকে তৈরি হচ্ছে উৎকৃষ্ট মানের গো-খাদ্য। যা বছর জুরে ডেয়ারি গামারি ও গরু পালনকারীদের সারা বছরের গরুর খাবারের যোগান দিতে পারবে ।
সারা দেশে অনেক ডেইরি খামার রয়েছে। খামার মালিকদের অধিকাংশ সময় গো-খাদ্যের নানা সংকটে পড়তে হয়। তাই অধিক মূল্যে দিয়ে গো-খাদ্য কিনে গরু লালন পালন করে গুনতে হয় লোকসান ।
ডেইরি খামারি আবদুল মান্নান বলেন, আগে ভুট্টা গাছ চাষিরা ফেলে দিতো বা জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করতেন। এখন ভুট্টা গাছ আর না ফেলে বা না জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করে গো খাদ্য হিসেবে কাজে লাগাছে । তিনি বলেন দুই বিঘা জমির ভুট্টা গাছ ১৫ হাজার টাকায় কিনে এনেছি। মেশিন দিয়ে কেটে নালি,কালো জিরা ও বিভিন্ন উপাদান দিয়ে গোখাদ্য তৈরি করছি। যা আমার খামারের ৩০টি গরুর এক বছরের খাদ্য হবে।
খামারি আমজাদ হোসেন বলেন, দেশীয় পদ্ধতিতে ভুট্টা গাছ থেকে স্বল্প খরচে গো-খাদ্য তৈরির পদ্ধতি চালু হওয়ায় ভুট্টা চাষিরাও লাভবান হচ্ছে খামারিরাও লাভবান হচ্ছে । এই খাদ্য গরুর জন্য অত্যান্ত পুষ্টিকর বলে জানান, কৃষিবিদ শফিকুর রহমান শিবলী । একসময়ের ফেলে দেওয়া ভুট্টা গাছ থেকে উৎকৃষ্টমানের গো-খাদ্য তৈরি পদ্ধতি সারা দেশে চালু হলে চাষি ও খামারি উভয়েই লাভবান হবেন বলে মনে করেন কৃষিবিদ ডা. সাইফুল ইসলাম।