বৃহস্পতিবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২৩
03 Dec 2024 11:31 pm
আশিক সুজন,ক্রাইম রিপোর্টার ৭১ ভিশন বগুড়া:- বগুড়া শহরের হাড্ডিপট্টি, সেউজগাড়ি সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে বগুড়া সদর ও স্টেডিয়াম ফাড়ির কার্যকর ভূমিকা পালনের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের প্রশংসার মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের হাড্ডিপট্টি,সেউজগাড়ী সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় সদর ও স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির মাদকবিরোধী অভিযানে কোন ঠাসা হয়ে পড়েছে মাদক কারবারিরা। এতে করে স্থানীয় জনগণের প্রশংসার মুখপাত্র পরিণত হয়েছে শহরে সদর ও স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন,গত দু'মাস থেকে এখন পর্যন্ত বগুড়া সদর ও স্টেডিয়াম ফাঁড়ির মাদকবিরোধী অভিযান গুলো বেশ প্রশংসনীয়। এতে করে বেশ কোন ঠাসা হয়ে পড়েছে শহরের মাদক কারবারিরা।আর এতে করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে স্থানীয় জনগণ। এমন অভিযান অব্যাহত থাকলে হয়তো বা মাদক কারবারিদের গোড়া থেকে নির্মূল করতে সফল হবে প্রশাসন। এতে করে উপকৃত হবে সমাজ, আর মাদকের ভয়াল থাবা থেকে মুক্তি পাবে যুব সমাজ।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর ফাড়ির ইনচার্জ(আইসি)মো:শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন,গত ০১.০২.২০২৩ ইং হতে ৩১.০৩.২০২৩ ইং পর্যন্ত আমাদের মাদকবিরোধী অভিযানে হাড্ডিপট্টি ও শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনার করে বিভিন্ন মাদক মামলায় ১৭ জন আসামি কে গ্রেফতার করে ১৫টি মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের থেকে ট্যাপেন্টটা ডল-২৭৯ পিস,ইয়াবা-৩৬৫ পিস, দেশীয় চোলায় মদ-৪০ লিটার,এম্পল-১২ পিস,গাঁজা-৫০ গ্রাম এবং নগদ ১৭৩০/- টাকা উদ্ধার করা হয়। আমাদের এই মাদকবিরোধী অভিযান চলমান থাকবে।মাদকের সঙ্গে যে বা যারা জড়িত আছে আমাদের চোখের আড়ালে, সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন,এ বিষয়ে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সচেতন জনগণের সহযোগিতা পেলে আমরা মাদক কারবারীদের গোড়া থেকে নির্মূল করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে বগুড়া স্টেডিয়াম ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) হরিদাস মন্ডল ৭১ ভিশনকে বলেন, আমাদের মাদকবিরোধী অভিযানে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গত ০১.০২.২০২৩ ইং হতে এখন পর্যন্ত মাদকের মামলায়-১৬ জন,অনান্য মামলায়-০৬ জন ও গ্রেফতারী পরোয়ানা মূলে ৩১ জন আসামি কে গ্রেফতার করে নিয়মিত মাদক আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃত আসামিদের থেকে ট্যাপেন্টা ডল-৩৩০ পিস,ইয়াবা-৫৫ পিস,গাঁজা-২০০ গ্রাম ও ১৭০০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, মাদক আমাদের সমাজের মরণ একটি ব্যাধি। মাদকের ভয়াল থাবায় নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে চলেছে অনেক পরিবার।স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে মধ্যবয়সী নর-নারী যেন কেউই রেহাই পাচ্ছে না মাদকের এই ভয়াল থাবা থেকে। আমাদের মাদকবিরোধী অভিযান চলমান আছে আগামীতেও চলমান থাকবে।আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে এক সরিষা দানা পরিমাণ ঘাটতি রাখিনা। আমরা আসামিদেরকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে দেই।
আমাদের বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী প্রত্যেকটি আসামী জামিনে মুক্তি পাওয়ার অধিকার রাখে।আসামিরা বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো পুনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে।তবে স্থানীয় জনগণের সচেতনতায় মাদক কারবারিদের নির্মূল করা যাবে বলে আশা করছি।