সোমবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২৩
29 Nov 2024 04:42 am
সঞ্জু রায়, বগুড়া: বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় কালী মন্দিরে চুরি যাওয়া প্রতীমার স্বর্ণের চুড়ি উদ্ধারপূর্বক পেশাদার চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরেই গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে অভিযোগের ২৪ ঘন্টার মাঝেই মন্দিরের স্পর্শকাতর এই বিষয়ে পুলিশের সফল অভিযানে স্বস্তি ফিরেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, দুপচাঁচিয়া উপজেলার ছোটধাপ গ্রামের মৃত মোসলেম প্রামানিকের ছেলে সেলিম প্রামানিক (৩৮) ও কাহালু উপজেলার জাঙ্গালপাড়া গ্রামের মৃত ইসাহাক আলীর ছেলে এমরান খন্দকার (২৪)। রোববার রাত ৯টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার পিপিএম দুপচাঁচিয়া থানায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, গত ৩১শে মার্চ দুপচাঁচিয়ার চেঙ্গা পালপাড়া শ্রী শ্রী দয়াময়ী কালীমাতা মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তাররা মন্দিরের দানবাক্স থেকে নগদ ১হাজার টাকা ও প্রতীমার হাতে থাকা স্বর্ণের ৩টি চুড়ি নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মন্দির কমিটির সভাপতি জীবন পাল বাদি হয়ে ১ এপ্রিল রাতে দুপচাঁচিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে সেলিম ও এমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই সময় সেলিমের বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া স্বর্ণের একটি চুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুইটি চুড়ি এমরানের কাছে ছিল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, মন্দিরে চুরির পর ভয় থেকে তার প্রচণ্ড জ্বর আসে ও অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এসময় তিনি অপরাধের দায়মুক্তি পেতে প্রতীমার স্বর্ণের দুইটি চুড়ি নদীতে ফেলে দেন।
পুলিশের এই কর্মকর্ত আরও জানান, গ্রেপ্তার দুইজনই পেশাদার অপরাধী। এর মধ্যে সেলিমের বিরুদ্ধে মাদক ও চুরির ৭টি মামলা এবং এমরানের বিরুদ্ধে মাদকের ৩টি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন আছে। প্রতীমার চুরি যাওয়া দুই চুড়ি উদ্ধারে গ্রেপ্তারদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবদের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার বলেন, ‘ধর্মীয় উপাসনালয়ে চুরির পর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছিল। তাদের স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে পুলিশ সুপার সুদীপ চক্রবর্ত্তী বিপিএম পিপিএম এর নেতৃত্বে বগুড়া জেলা পুলিশ পরিবার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ধর্মীয় সম্প্রতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে বগুড়া পুলিশ পরিবার সর্বদা তৎপর ছিলো এবং আছে।’ সংবাদ সম্মেলনে আদমদিঘী-দুপচাঁচিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ, দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ, ইন্সপেক্টর আব্দুর রশিদ ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহজাহান আলী উপস্থিত ছিলেন।