সোমবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২৩
29 Nov 2024 05:54 am
উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে: নড়াইলে খামারির চারটি বিদেশী জাতের গরুর রহস্যজনক মৃত্যু করা হলো ময়নাতদন্ত। খামারির ৪ গরুর রহস্যজনক মৃত্যু, করা হলো ময়নাতদন্ত নড়াইল সদরে আব্দুল আজিজ ওরফ জুয়েল (৫৮) নামের এক খামারির চারটি বিদেশী জাতের গরুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এতে আনুমানিক সাড়ে ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন খামারি। তার অভিযোগের ভিত্তিতে গরুগুলোর মৃত্যুর রহস্য জানতে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, রোববার (২ এপ্রিল) দুপুরে নড়াইল জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের ৫ সদস্যের একটি দল পুলিশের উপস্থিতিতে সদর পৌরসভাধীন হাঁট বাড়িয়া গ্রামের ওই খামারির বাড়ির পাশে মৃত গরু গুলোর ময়নাতদন্ত করে।
পুলিশ ও খামারি মালিক সূত্রে জানা যায়, সদরের পৌরসভাধীন হাটবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল আজিজ ওরফে জুয়েলের বাড়িতে বিদেশী উন্নত জাতের ১৬টি গরু নিয়ে একটি খামার রয়েছে। প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার (১ এপ্রিল) ইফতারের আগে জুয়েল তার খামারের গরুগুলোকে খাবার দিয়ে ইফতার করতে মসজিদে চলে যান। নামাজ পড়ে ফেরার সময় বাড়ির লোকের চিৎকার ও কান্নাকাটিতে জুয়েল তার খামারে দৌড়ে যান। গিয়ে দেখতে পান তার দুটি গরু মারা গেছে এবং অপর দুটি গরু মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছে। তাৎক্ষণিক গরু দুটিকে তেতুল পানি খাওয়ান এবং উপজেলা প্রাণি সম্পদ উপ-সহকারী কর্মকর্তা (পশু চিকিৎসক) অনন্ত কুমার পালকে খবর দেন। পশু চিকিৎসক খবর পাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে খামারে উপস্থিত হয়ে গরুগুলোর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।
খামারি আব্দুল আজিজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফ্রিজিয়ান জাতের দুইটি গাভী ও একটি বকনা বাছুর এবং শাহিওয়াল জাতের একটি গাভীসহ চারটি গরু মারা গেছে। এতে আমার সাড়ে ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি মনে করছি বাড়ির লোকের অনুপস্থিতিতে কেউ শত্রুতা করে আমার খামারের গরুগুলোর খাবারে বিষ জাতীয় কিছু মিশিয়েছে। তাই আমি থানায় অভিযোগ করেছি।
জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মো. আবু তালেব বলেন, চৈত্রের শেষে তাপমাত্রাজনিত কারণে চাষের ঘাষে প্রচণ্ড পরিমাণ নাইট্রেট জমা হয়। গরুর পেট খালি থাকা অবস্থায় চাষের ঘাস খেলে পাকস্থলীতে গিয়ে বিক্রিয়া হয়ে গরুর মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এই কারণে গরু তিনটির মৃত্যু হয়েছে। যেহেতু খামারির বড় ক্ষতি হয়েছে, তাকে আইনগত সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রোকনুজ্জামান, উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক, উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ অনন্ত কুমার পাল, উপ-সহকারী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমসহ পাচঁ সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম খামারির বাড়িতে গিয়ে ময়নাতদন্ত করেছেন। গরুর ভিসেরা, ঘাস, ভুষি অন্যান্য প্রয়োজনীয় আলামত পুলিশের মাধ্যমে রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবাইদুর রহমান বলেন, খামারি আব্দুল আজিজের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে পুলিশের উপস্থিতিতে মৃত গরুগুলোর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।