রবিবার, ০২ এপ্রিল, ২০২৩
26 Nov 2024 02:12 am
আবু ইউসুফ রাণীনগর (নওগঁ) প্রতিনিধি ঃ নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নে বিস্তৃর্ণ মাঠজুরে এখন সবুজের সমারহ। যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। এ সবুজই বলে দেয় গ্রাম বাংলার কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ফেলা ইরি-বোরো ধান চাষের মাঠ। শেষ মহুর্তে সব কিছু ঠিক থাকলে কৃষকরা বাম্পার ফলনের বুকভরা আশা করছেন।
জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১৯হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ১৯হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে।
এ বছর রাণনীগর বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কতৃপক্ষ ২৬২টি গভীর নলকূপ বিদ্যুৎ চালিত ব্যক্তিগত ৮০টি ডিজেল ৪০টি অগভীর বিদ্যুৎ চালিত ৩৭৫টি নদী থেকে এলএলপি বিদ্যুৎ চালিত পাম্প ৬০টি’র মাধ্যমে এই আবাদি ইরি ধানে সেচ প্রদান করছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিক সময়ে চারা লাগানো নিবিড় পরিচর্যা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, যথা সময়ে সেচ দেওয়া, সার সংকট না থাকায় উপজেলায় চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। সরজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। ইতি মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ ধানের শীষ বের হয়েছে। রাণীনগরে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত ইরি-বোরো ধানের বিস্তৃর্ণ মাঠ যা দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। এ বছর সঠিক সময়ে কৃষদের মাঝে প্রনোদনার বীজ ও সার দেওয়ার কারণে চাষিরা কিছুটা আগেই ধান লাগানো শেষ করেছে। উপজেলা কৃষি অফিসের ব্যবস্থাপনায় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করছেন। মাঠ পর্যায়ে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা আইপিএম (সমন্বিত শষ্য ব্যবস্থাপনা) ও আইসিএম (সমন্বিত শষ্য ব্যবস্থাপনা) ক্লাবের মাধ্যমে আলোক ফাঁদে এবং বোরো ক্ষেতে কি ও গাছের ডাল পুঁতে পোকা মাকড় নিধনে কৃষকদের উৎসাহিত করায় রোগবালাই কম দেখা যাচ্ছে।
উপজেলার পারইল গ্রামের আরিফুল ইসলাম,চকপারইল গ্রামের কোরবান আলী, বলেন আমরা ইরি-বোরো ধান লাগিয়েছি। ইতি মধ্যে শীষ বের হতে শুরু করেছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে যথা সময়ে ধান লাগানোসহ পরিচর্যা করেছি। আশা করছি ধানের ভালো ফলন পাবো। শেষ মহুর্তে আবহাওয়া ভালো থাকলে আমরা সোনার ফসল ঘরে তুলতে পারবো। এতে এবার অনেক লাভ হবে বলে আশা করেন তারা।
উপজেলা কৃষি আফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন , চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় লক্ষমাত্রার অধিক জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এর মূল কারণ কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে যথা সময়ে কৃষকদেরকে চারা লাগানো পরামর্শ নিবিড় পর্যবেক্ষন সার ও কীটনাশক প্রয়োগ সার সংকট না থাকায় সঠিক সময়ে সেচ দেওয়াসহ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের কারণে আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত ভালো থাকলে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।