বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩
29 Nov 2024 04:31 am
আবু ইউসুফ নওগাঁ প্রতিনিধিঃ- নওগাঁর রাণীনগরে কাশিমপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন একজন অফিস সহায়ক। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক রোগী এই কেন্দ্রে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসেন। পদ থাকলেও ডাক্তার এই কেন্দ্রে না থাকায় প্রায় তিন মাস ধরেই চলছে অফিস সহায়ক দিয়ে চিকিৎসা সেবা। সেবা নিতে আসা রোগীরা বলছে আমরা বিপদে পরেই এখানে আসি। ডাক্তার না থাকলেও পিয়নে যে ওষুধ দেয় সেটা নিয়েই খাই।
জানা গেছে, উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের দীঘির পাড় নামক স্থানে অবস্থিত এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকার কারণে এই কেন্দ্রে পাশ্ববর্তী গোনা ও মিরাট ইউনিয়নের লোকজনও নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসেন। এই ইউনিয়নের প্রায় কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। অধিকাংশ মানুষই কাশিমপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসে।
গত ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে এই কেন্দ্রের উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার অবসর জনিত কারণে বিদায় নেওয়ার পর প্রায় তিন মাস ধরে এখানে কোন ডাক্তার দেওয়া হয় নাই। ওই কেন্দ্রটিতে স্বাস্থ্য সেবা চলমান রাখার স্বার্থে আজাদ আহসানুল হক নামে একজন ফার্মাসিস্টকে ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে সপ্তাহে দুই দিন এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বসেন। বাকি দিনগুলো এই কেন্দ্রের অফিস সহায়ক হুমায়ন রোগীদের বর্ণনা মতো ওষুধ দিয়ে থাকেন। চিকিৎসকের পদ শুন্য থাকায় এই এলাকায় বসবাসরত মানুষগুলো যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে বি ত হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি চিকিৎসার মান ধরে রাখতে জরুরী ভিত্তিতে এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন চিকিৎক দেওয়া হোক। উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের চিকিৎসা নিতে আসা আব্দুস ছামাদ (৫৫) বলেন, অসুখ হলে আমি এখানেই এসে ওষুধ নেই। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় পিয়নে যে ওষুধ দেয় সেটাই খাই। ভালো চিকিৎসার জন্য এখানে একজন ডাক্তার খুবই জরুরী।
কাশিমপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অফিস সহায়ক হুমায়ন বলেন, রোগীদের ওষুধ দেওয়ার দায়িত্ব আমার না। কিন্তু উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রাথমিক কিছু যেমন, সর্দি জ্বর কাশি পাতলা পায়খানার ওষুধপত্র আমি দিই। এখানে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। ইনচার্জ হিসেবে একজন ফার্মাসিস্ট আছে সে এখানে সপ্তাহে দুই দিন বসেন।
কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন মকলেছুর রহমান বাবু জানান, আমার ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বসবাস। অধিকাংশ মানুই নানান অসুখ-বিসুখে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা নিতে যায়। প্রায় তিন মাস ধরে ডাক্তার না থাকায় পিয়ন দিয়ে রোগীদের ওষুধ দেওয়া হয়। যা রোগীদের স্বাস্থ্য হানীর আশংকা থাকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমার দাবি এখানে জনস্বার্থে একজন ভালো ডাক্তার দেওয়া হোক।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ ইকতেখায়রুখ আলম খান বলেন কাশিমপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যে ডাক্তার ছিলেন সম্প্রতি সে অবসর জনিত কারণে বিদায় নিয়েছেন। তার কাগজ পত্র ইতিমধ্যে ঢাকাতে পাঠানো হয়েছে। পোস্টিং স্বাপেক্ষে ওই কেন্দ্রে চিকিৎসক দেওয়া হবে। অফিস সহায়ক রোগী দেখেন না শুধু মাত্র অফিস খুলে রাখেন। তবে চেষ্টা করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওখানে একজন চিকিৎকে পোস্টিংয়ের ব্যবস্থা করবো।