রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩
28 Nov 2024 10:30 pm
খোকন হাওলাদার, গৌরনদী(বরিশাল)প্রতিনিধিঃ- বরিশালের আগৈলঝাড়ায় প্রায় কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার করে গৃহহীনদের ঘর নির্মান করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন।
স্বাধীনতার পর থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী ৫৮ শতাংশ জমি দখল করে আসছিলেন। তবে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হেসেন গৃহহীনদের জায়গা খোঁজ করলে বেদখল হওয়া জায়গার খবর নেয়। সম্প্রতী ২৫ জুলাই ২০২২ তিনি গৈলা ইউনিয়নের টেমার মৌজার বিএস ১১ নাম্বার দাগের ১ নং খাস খতিয়ানের ৫৮ শতাংশ নাল জমি অবৈধ প্রভাশালী দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করেন। জায়গাটি স্থানীয় প্রভাবশালী মুহিদ ইসলাম বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দীর্ঘদিন নিজেদের দখলে রেখেছিল। খাস খতিয়ানের এই জায়গাটির বর্তমান মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।
মূল্যমান এই জমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হেসেন সরকারের পক্ষে দখল নিয়ে ৪র্থ ধাপে গৃহহীনদের ঘর নির্মান করার জন্য প্রথমে মাটি ভরাট করে প্লাসাইটিং নির্মান করে জমিটি গৃহ নির্মানের জন্য তৈরি করে গৃহহীনদের ঘর নির্মান করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মোশারফ হোসেন জানান, উপজেলায় প্রথম ধাপে ৩৬টি,দ্বিতীয় ধাপে ১৫টি,তৃতীয় ধাপে ৯৬টি,এবং চতুর্থ ধাপে ৭৫টি করে মোট ২২২টি গৃহহীনদের ঘর নির্মান করা হচ্ছে।চতুর্থ ধাপের ৭৫টি ঘরের মধ্যে সরকারি খাস জমি বেদখল হওয়া প্রায় এক কোটি টাকার ৫৮ শতাংশ জমি দখল করে ২৬টি গৃহহীনদের ঘর নির্মান করা হচ্ছে।তবে দখলকৃত সরকারি খাস জমি উদ্ধারে বেগ পেতে হয়েছে বেশকিছু ক্ষেত্রে।উদ্ধারের পরেও ঘর নির্মানে সময় এসেছে বাধা। তবে উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেনের সহযোগিতায় এই জায়গা দখল মুক্ত করে গৃহহীনদের ঘর নির্মানের কাজ চলছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক বি এম মনির হোসেনকে জানান চতুর্থ ধাপের ঘর নির্মানের জন্য জায়গা খোজ করলে সরকারি বেদখল হওয়া ৫৮ শতাংশ জায়গা উদ্ধার করে গৃহহীনদের ঘর নির্মানের উপযোগী করে ২৬টি ঘর নির্মানের কাজ চলছে।তিনি আরও বলেন,আগৈলঝাড়া উপজেলায় কোথাও খাস জমি বেদখল হয়ে থাকলে উদ্ধার করা হবে বলে জানান।