শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩
28 Nov 2024 05:49 pm
এস এম দৌলত,জেলা প্রতিনিধি,বগুড়াঃ জনবহুল শহর বগুড়া ।শিক্ষানগরী হিসেবেও খ্যাত বগুড়া। জনমানব বেড়ে যাওয়ায় বগুড়া হয়ে উঠেছে দানবীয় শহর। মানুষ বাড়লেও বাড়েনি রাস্তাঘাট। অফিস আদালত বাড়লেও হয়নি মানুষের চলার সুবন্দোবস্ত। কিন্তু বেড়েছে নানান রকমের যানের।
চিকন চাকার রিক্সা,তিন চাকার অটো, ছয় সীটের অটো,হোন্ডার বহরে অস্থির বগুড়া বাসি। সব মিলে যানজটে নাকাল বগুড়া শহর। বগুড়া শহরের ফতেহ আলী মাজারের সামনে তিন সীটের অটোর লম্বা লাইন দেখে মনে হয় যেন অস্থায়ী স্ট্যান্ড! সরজমিনে দেখা গেছে এসব অটোর চালকরা যাত্রী তুলে নারুলী, সাবগ্রাম গাবতলী পর্যন্ত চলাচল করে। আবার ফেরার পথে সাবগ্রাম হতে ফতেহ আলী মাজারের সামনে যাত্রী নেমে দেয়।এতে যাত্রীরা সুবিধা পেলেও পথচারীদের নাভিম্বাস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরজমিনে দেখা গেছে,ব্রীজের পূর্ব পার্শ্ব হতে প্রতিনিয়ত নারুলী, সাবগ্রাম ও গাবতলী রুটে যাত্রী চলাচলের ৬ সীটের অটোর স্ট্যান্ড আছে। আগে সেখান থেকেই যাত্রীরা চলাচল করতো। এখন ফতেহ আলী মাজার ও বাজারের সামনে তিন চাকার অটো দাঁড়ানোর ফলে একদিকে যেমন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে অন্য দিকে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে চরমে। জনবহুল বগুড়া শহরে এযেন গোদের উপর বিষফোঁড়া। বেশ কিছুদিন যাবৎ দেখা যাচ্ছে তিন সীটের অটো বগুড়া শহরে নামার পর দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে সারা শহর।
এদের জ্বালায় যখন অস্থির জনগণ অস্থির প্রশাসন, তখন বাধ্য হয়েও প্রশাসন তিন সীটের অটো শহরে ঢোকা বন্ধ করে দেয়। কিছুদিন বন্ধ থাকলেও একেবারে বন্ধ করা যায়নি এদের দৌরাত্ব। আবারও আগের মতই সারা শহরে দাঁপিয়ে জনজীবনকে অস্থির করে তুলছে।
প্রতিদিন সকাল হতেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে দেখা যায় এদেরকে ফতেহ আলী মাজার ও বাজারের সামনে হতে । একদিকে হকার, অন্যদিকে চিকন চাকার রিক্সা,তার ওপর মোটরসাইকেল। সব মিলে ফতেহ আলী মাজারের সামনে যেন বৈশাখী মেলা।
বাজারে কেনাকাটা করতে আসা মানুষদের কাছে এযেন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। বাজারে ঢোকা যেমন কষ্টকর তেমনি বাজার করে বের হওয়ায় ভয়ংকর।তার উপর মরার ওপর খাঁরা ঘাঁ হয়ে ওৎ পেতে থাকে পকেটমার, টানা পার্টি আর ধাক্কাপার্টির দল।
এমন কোন দিন নাই যেদিন মানুষের পকেট কাটা যায়না। এদের কবল থেকে রক্ষা পেতে বাজার কর্তৃপক্ষ মাইকিং করছেন মাঝে মাঝে। কিন্তু কে শুনে কার কথা।
কবির নামে এক গ্রাহকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ফতেহ আলী বাজারে ঢোকা আর বের হওয়া যেন একটা লড়াই।বাজারের মাঝে হোন্ডা রেখে গ্রাহকদের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে একদল মানুষ, যেন দেখার কেউ নেই। এসব বন্ধ করা দরকার।
তেমনি চেলোপাড়া হতে বাজার করতে আসা এক বয়োবৃদ্ধ হাফিজার রহমান বলেন, বাজারে ঢোকা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।তিন চাকার অটোর লম্বা লাইন পার হয়ে বাজার ঢোকা আর বের হওয়া বিরক্তিকর। বাজারের সামনে হতে এসব অটো স্ট্যান্ড সড়ানো দরকার।
এ বিষয়ের বগুড়া ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মকর্তা সত্যবান সরকার জানান,জনবলের অভাবে আমরা এসব অবৈধ স্ট্যান্ড সড়াতে পারছি না।তবে আমরা যানজট মুক্ত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।