মোরশেদুল ইসলাম রবি:-বগুড়ার কাহালু উপজেলার কালাই কুমারপাড়া গ্রামে হিন্দু গৃহবধু জনৈক্য (২২) এর ঘরে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করলেন একই গ্রামের মোখলেছার রহমানের বিবাহিত লম্পট পুত্র মুক্তার হোসেন (২৬)। ঘটনার পর থেকে লম্পট মুক্তার হোসেন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ঘটনায় উক্ত গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সরে জমিনে গেলে উক্ত গৃহবধু, তার স্বামী ও প্রতিবেশীরা জানান, নির্যাতিত গৃহবধুর স্বামী স্থানীয় কনিপাড়া বাজারে সেলুনের দোকানে কাজ করেন।

গত বুধবার সকালে সে প্রতিদিনের ন্যায় দোকানে কাজে যায়। তার স্ত্রী বিকেল বেলা প্রতিবেশী মিন্টুর বাড়িতে বাচ্চাদের পিকনিকের অনুষ্ঠানে যায়। এই সুযোগে মুক্তার হোসেন উক্ত গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে লুকিয়ে থাকেন। পরে উক্ত গৃহবধূ বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরে ঢুকলে আগে থেকে লুকিয়ে থাকা মুক্তার হোসেন তার ঘরে ঢুকে গলায় ধারালো চাকু ধরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এর কিছুক্ষণ পর গৃহবধুর স্বামী বাড়িতে বাজার দিতে এসে বাড়ির দরজায় ডাকাডাকি করলে মুক্তার হোসেন বাড়ির পাচীর টপকে পালিয়ে যায়। মুক্তার হোসেনের পিতা মোখলেছার রহমান স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকায় অনেকে তাদের ভয়ে প্রতিবাদ বা মুখ খুলে না। নির্যাতিত গৃহবধূ ও তার স্বামী এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান। তারা আরও জানান, এ ঘটনার পর থেকে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে কালাই ইউপির সংশ্লিষ্ট স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য ফিরোজ এর সাথে কথা বলা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমি এ বিষয়ে থানা পুলিশকে অবগত করেছি। অভিযুক্ত মুক্তার হোসেনের বাড়িতে গিয়ে বাড়ির দরজা তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ হয়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।