মঙ্গলবার, ০৭ মার্চ, ২০২৩
28 Nov 2024 04:46 am
একাত্তর ভিশন ডেস্কঃ- জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান জননেতা মিজানুর রহমান মিজু বলেছেন, ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির উদ্দেশে যেই ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন সেই ভাষণ স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছিল।
জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি ঝিনাইদহ জেলা শাখার উদ্যোগে আজ সকাল ১০ টায় ঝিনাইদহ শহরের মুজিব চত্বরে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মিজানুর রহমান মিজু বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ একাত্তরের ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠে বাংলার মানুষে পেয়েছিল মুক্তির মহামন্ত্র। সুদীর্ঘ আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৯৭১ সালের দিনটিতে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়ে যে ভাষণ দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তা আজ সারা বিশ্বে সমাদৃত। ২০১৭ সালে ইউনেস্কো এই ঐতিহাসিক ভাষণকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। মাত্র ১৮ মিনিটের এই মহাকাব্যে ধ্বনিত হয়েছিল বাঙালি জাতির মুক্তির মহামন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর শাণিত ও প্রদীপ্ত উচ্চারণে কেঁপে উঠেছিল দখলদার পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদের মসনদ। মূলত ৭ই মার্চের ভাষণেই নিপীড়িত—নির্যাতিত বাঙালি জাতি খুঁজে পেয়েছিল শোষণমুক্তির কাঙ্ক্ষিত পথ।
মিজানুর রহমান মিজু আরো বলেন, বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে উন্নত রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে চলেছে। ২০২৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নতুন উন্নত—স্বনির্ভর এক বাংলাদেশকে দেখতে পাচ্ছে। ঠিক তখন ৫২’র প্রেতাত্মারা আবারো জেগে উঠেছে। তাদের সেই বিষ দাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
পুস্পস্তবক অর্পন কালে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক জুয়েল বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন তোফা বিশ্বাস, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজমত আলী, মিলন বিশ্বাস, হুমায়ুন আহম্মেদ ও সোহেল আরমান প্রমুখ।