মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
25 Nov 2024 04:43 am
শাফায়াত সজল, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শাজাহানপুর থানার অভিযানে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র আশিক (১৭) হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ০২ টি চাকু ও তার ব্যবহৃত মোবাইল সহ হত্যাকান্ডে অংশগ্রহনকারী ০৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো শাজাহানপুর থানার পরানবাড়িয়া পুর্বপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র কাউছার (২২), ঝালোপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক এর পুত্র মাহমুদুল (২০) এবং রামপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম এর পুত্র সাহান (২০)।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, নিহত শাহরিয়ার ইসলাম রিয়াজ ওরফে আশিক (১৭) তার বন্ধু কাউছারকে একটি কাজ করে দেয়ার মৌখিক শর্তে ৪০০/- টাকা প্রদান করে। কিন্তু কাউছার কাজটি না করলে আশিক কাউছারের কাছে উক্ত টাকা ফেরত চায়। কিন্তু কাউছার উক্ত টাকা তার আরেক বন্ধু মাহমুদুলের নিকট রেখে দেয়। কিন্তু মাহমুদুল উক্ত টাকা খরচ করে ফেলে। এদিকে কাউছার আশিককে টাকা দিতে তালবাহানা করে।
এতে করে আশিক তার এলাকার কথিত এক বড় ভাইকে দিয়ে কাউছারকে ৪শ টাকা ফেরত দেয়ার চাপ সৃষ্টি করলে সে অপমানিত বোধ করে এরই রেশ ধরে হত্যাকান্ডের দুইদিন পূর্বেও এই টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে আশিক ও কাউছারের মধ্য মারধর করার উপক্রম পরিবেশ তৈরী করে। এসব কারনে কাউছার রাগান্বিত হয়ে অন্যান্য বন্ধুদের সাথে পরামর্শ করে আশিককে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক হত্যা করে।
এই সংক্রান্তে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা রুজু হলে তাৎক্ষনিক বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী (বিপিএম, পিপিএম) এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ আব্দুর রশিদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম এর তত্ত্বাবধানে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাজাহানপুর থানা এর নেত্বত্বে শাজাহানপুর থানার একটি চৌকস টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চাঞ্চল্যকর কলেজ পড়ুয়া ছাত্র শাহরিয়ার ইসলাম রিয়াজ ওরফে আশিক(১৭) হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত ও তদন্তে প্রাপ্ত ০৪ জন আসামীর মধ্যে ০৩ জন আসামীকে শাজাহানপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীরা প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করে যে, ধারালো চাকু দ্বারা আশিকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং পরে গলা ও পায়ের রগ কেটে তাকে হত্যা করেছে।
পুলিশ আলামত হিসাবে আসামী সাহান এর নিকট থেকে নিহত আশিকের ব্যবহার করা রিয়েলমি এন্ড্রোয়েড ফোন, আসামী কাউছার ও মাহমুদুল এর নিকট থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ২টি ধারালো চাকু উদ্ধার করে। এছাড়াও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে পুলিশই অভিযান অব্যাহত আছে।