বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
27 Dec 2024 01:06 pm
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধায় বেড়েই চলেছে ভোজ্যতেলের দাম। আকাশচুম্বী এই দাম থেকে রেহাই পেতে এবং অধিক লাভের আশায় এ বছরে গাইবান্ধার কৃষকরা সরিষা আবাদে বিপ্লব ঘটিয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন তারা। এতে প্রায় ২৩ হাজার ৪০৮ মেট্রিকটন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
সম্প্রতি গাইবান্ধার নদীর তীরবর্তী এলাকাসহ আরও বিভিন্ন মাঠে দেখা গেছে, সরিষা ক্ষেতের সমাহার। কোথাও কোথাও ফুলে ফুলে সেজে ওঠেছে এই ক্ষেত। আবার কোথাও ফসল সংগ্রহ ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষক। এসময় বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরে ১০ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়। এতে উৎপাদন হয়েছিল ১৪ হাজার ৬৬৭ মেট্রিকটন। আর এ বছরে ভোজ্যতেলের বাজার অস্থিতিশীল থাকায় এবং সরকারি প্রণোদনা পাওয়ার বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলার ৭ উপজেলায় ১৫ হাজার ২০০ হেক্টর আবাদ থেকে প্রায় ২৩ হাজার ৪০৮ মেট্রিকটন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।গাইবান্ধার বাদিয়াখালির চকবরুল গ্রামের কৃষক রোজিনা বেগম জানান, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় দেড় বিঘা জমিতে বারি-১৮ জাতের সরিষা আবাদ করেছেন তিনি। এতে ২ কেজি বীজ বপন করেন। ইতোমধ্যে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন। আর কয়েকদিন পরই এই ফসল ঘরে তুলবেন। এতে প্রায় ৯ মণ সরিষা পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
তিনি বলেন, আগে কখনও সরিষার আবাদ করিনি। ইদানিং ভোজ্যতেলের দাম বেশি হওয়ার কারণে এবং কৃষি অফিসের নগদ টাকা, সার-বীজ সহায়তা পেয়ে এই আবাদ করেছি। এতে প্রায় ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিমণ কাঁচা সরিষা ২৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যার ফলে বেশ লাভবান হবো।
গাইবান্ধা সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছরে অধিক পরিমাণ জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষকদের লাভবান করতে ইতোমধ্যে প্রণোদনা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাদের সার্বিক পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।