মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩
22 Nov 2024 06:49 am
মাশরাফী নিয়মিতই নড়াইলে গিয়ে এলাকাবাসীর খোঁজখবর নিতে সরেজমিন পথে-প্রান্তরে ছুটে বেড়ান। সমস্যা সমাধানে নেন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা। একজন প্রতিশ্রুতিশীল রাজনৈতিক নেতা হিসেবে জনতার কাতারে এসে সততা ও নিষ্ঠার অনন্য নজির গড়েছেন তিনি। ‘নড়াইল হবে প্রজন্মের শ্রেষ্ঠ বাসস্থান’- নির্বাচিত হয়ে এই স্লোগান সামনে রেখে মাশরাফী বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মাশরাফীর যুগান্তকারী নানা উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক জোন, উন্নত শিক্ষার দ্বার উন্মোচনে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, আইটি পার্ক, কৃষির উন্নয়নে বীজ শোধনাগার নির্মাণ ও ২০টি খাল খনন।
এছাড়া আরও রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ফোর লেন বাস্তবায়নে প্রকল্প গ্রহণ, নড়াইল উন্নয়ন প্রকল্প নামে ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এলজিইডির প্রকল্প গ্রহণ, নড়াইল শহরের শোভা বর্ধনে চিত্রানদীর পাড়ে ওয়াকওয়ে, চিত্রা ও নবগঙ্গার নাব্য ফেরাতে নদী খনন প্রকল্প ইত্যাদি।
‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন’ নামে মাশরাফীর নিজ হাতেগড়া সেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমেও কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্রীড়া, চিকিৎসা খাতসহ আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখে সব মহলে প্রশংসা কুড়িয়ে চলেছেন মাশরাফী।
‘জনতার মুখোমুখি জনতার সেবক’ শিরোনামে ইউনিয়নে ইউনিয়নে মাশরাফীর সাম্প্রতিক জবাবদিহিতামূলক ব্যতিক্রমী আয়োজন ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। নড়াইলে তিনিই প্রথম কোনো জনপ্রতিনিধি, যিনি তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের খোঁজখবর নিতে গণমানুষের মুখোমুখি উপস্থিত হন।
মাশরাফীর এমন সব অনন্য উদ্যোগের ফলে সাধারণ মানুষ তাদের প্রিয় নেতাকে হাতের কাছে পেয়েছে, তাদের পুঞ্জিভূত নানা সমস্যা প্রাণখুলে তুলে ধরছে। এতে মাশরাফীর প্রতি এলাকাবাসীর আস্থা ও নির্ভরতা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। মানুষ বলছেন, নির্বাচিত হওয়ার পর কেউ আর সাধারণ মানুষের কথা ভাবে না, কিন্তু মাশরাফী ব্যতিক্রম।
মাশরাফীকে স্থানীয় রাজনীতির চিরায়ত বিভেদ-কোন্দলের পঙ্কিলতা স্পর্শ করতে না পারায় দলীয়ভাবেও তার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। জেলা থেকে তৃণমূল পর্যন্ত মাশরাফীর বিরুদ্ধে কাউকে অবমূল্যায়নের কোনো অভিযোগ নেই। তাছাড়া দলের ত্যাগী নেতাকর্মী হিসেবে যাদের সুনাম রয়েছে, তাদের প্রতি মাশরাফীর বিশেষ শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও সুদৃষ্টি রয়েছে। সময়