শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৩
27 Nov 2024 02:00 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে একটি গভীর নলকূপের চারদিকে বেড়া দিয়ে সেচ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ শহিদুল ইসলাম ডন এ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ নলকূপ অপারেটর আব্দুস সালামের।এতে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে নলকূপের আওতায় থাকা প্রায় ১৩০ বিঘা জমির বোরো চাষ।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠে সেচ দেওয়ার জন্য বসানো হয়েছে একটি গভীর নলকূপ। কিন্তু সেটির চারদিকে টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশেই বেশ কয়েকজন কৃষককে বিষয়টি নিয়ে দুঃচিন্তা-হতাশা প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
স্থানীয় কৃষক আশরাফ আলী মোজাহার মিয়া ও আবুল হোসেন জানান, কৃষকের সেচ সুবিধা দিতে গোপালপুর গ্রামের সরকারি জমিতে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে সাদুল্লাপুর উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এতে অপারেটর হিসেবে নিয়োগ পান ওই গ্রামের মৃত তছির উদ্দিন আকন্দের ছেলে আব্দুল সালাম। সেটি থেকে দীর্ঘদিন ধরে সেচ সুবিধা পেয়ে আসছিলেন কৃষকরা।
এদিকে নলকুপটি ঘেঁষে একই গ্রামের মৃত খেতাব উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম ডনের জমি আছে। অপারেটর সালামের সঙ্গে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে গভীর নলকূপটির চারদিকে টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। এ কারণে আটকে গেছে সেচ কার্যক্রম। ফলে বিপাকে পড়েছেন অপারেটর সালামসহ শতাধিক কৃষক।
ইতোমধ্যে বোরো আবাদের জন্য কৃষকরা প্রায় ১৩০ বিঘা জমি প্রস্তুত করলেও হঠাৎ সেচ কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় থেমে গেছে চারা রোপণের কাজ। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম ডন বলেন, নলকূপের জমিসহ পাশের জমি আমার। প্রয়োজনে আমি আমার জমিতে বেড়া দিয়েছি। এতে সেচ কার্যক্রম চলবে কিনা সেটি আমার দেখার বিষয় না।
নলকূপ অপারেটর আব্দুল সালাম বলেন, নলকুপের দুই শতক জায়গা সরকারের। শহিদুল ইসলাম ডনের সঙ্গে আমার পারিবারিক দ্বন্দ চলে আসছে। এরই জেরে নলকূপটির চারপাশে বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। ফলে কৃষকের জমিতে সেচ দিতে পারছি না। এ নিয়ে কৃষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
সাদুল্লাপুর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল বাশার জানান, নলকূপটি বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।