বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৩
26 Nov 2024 02:58 pm
সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে মাসিরা চৌধুরী’র মিথ্যা প্রচারনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহাজান হোসেন মন্ডল।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নিজ কার্যালয়ে উক্ত সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন, গত ১৫ জানুয়ারী জৈনক মাসিরা চৌধুরী জেলা প্রেসক্লাবে তার নামে মিথ্যা অপপ্রচার করে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।সে যে ধরনের বক্তব্য প্রদান করেছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন যে, “আমার জীবনে আমি কোন দিন কথিত ওই মাসিরা চৌধুরীকে দেখিনি বা চিনিওনা। অথচ তিনি তার বক্তব্যে আমাকে জালিয়াত বলে উল্লেখ করেছেন। আমি নাকি তার সম্মতির জাল দলিল তৈরী করে আত্মসাত করেছি। তার বক্তব্যে তিনি যে সম্পত্তির কথা উল্লেখ করেছেন তা তার ভাই মাকসুমুল হক চৌধুরী বিক্রি করেছেন। যা জৈনক জুলফিকার আলী নামক এক ব্যক্তি ক্রয় করেন। উক্ত জুলফিকার আলীর সাথেও আমার কোন সম্পর্ক নেই। কথিত ওই মাসিরা চৌধুরী তার বক্তব্যে আমার মান সম্মানের ব্যপক ক্ষতি সাধন করেছেন। প্রকৃত ঘটনা না বুঝে তিনি আমাকে তাদের ব্যক্তিগত পারিবাকি ঝামেলায় জড়িয়েছেন।”উপজেলা চেয়ারম্যান চ্যালেঞ্জ করে বলেন, তিনি যে তার সম্পত্তি জাল করে নিয়েছেন তার বিষয়ে ওই মাসিরা চৌধুরীর সাহস থাকলে একটি বিষয় থাকলেও সে তা প্রমান করুকতিনি সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্র্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রকৃত জমির মালিক মাকসুমুল হক চৌধুরী ও ক্রেতা জুলফিকার আলী উপস্থিত ছিলেন।
ষড়যন্ত্রকারী ও চক্রান্তকারী মাসিরা চৌধুরীর মিথ্যা প্রচারণার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে ভূমি দস্যুতা করতে এসে বাধা গ্রস্ত মাসিরা চৌধুরী নির্দোষ ব্যক্তিদের দোষী সাব্যস্ত করে ফায়দা হাসিলের ভিন্ন চেষ্টার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঢাকার মোহাম্মদপুর লালমাটিয়া বসবাসরত ও কাজী আব্দুল মজিদ এর স্ত্রী মাসিরা চৌধুরী একজন লোভী, চক্রান্তকারী, ষড়যন্ত্রকারী, মামলাবাজ, সুযোগসন্ধানী, নোংরা মানসিকতার মহিলা, যার মিথ্যা প্রচারণার প্রতিবাদে সকল সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতা চেয়ে সত্য ঘটনার বর্ণনা প্রকাশ করেন।
মকসামুল হক চৌধুরী জমি বিক্রয় করে জুলফিকার আলীর নিকট যা বায়না নামা দলিল সম্পাদন করা হয় ২২ জানুয়ারি/২০২০ইং দলিল নাম্বার ৪৭৯/২০। উক্ত বায়না নাম্বার পূর্বে মাকসুমুল হক চৌধুরী ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ সালে তার মা নার্গিস দুই বোন মনিরা চৌধুরী ও মাসিরা চৌধুরী এর নিকট থেকে হেবা দলিল মূলে রেজিস্ট্রি করে নেন যার নাম্বার ৪১৬/১৮। উক্ত সম্পত্তি হেবা অস্বীকার করে আদালতে মামলা করে মাসিরা চৌধুরী উক্ত মামলা অযৌক্তিক আবেদন মনে করে খারিজ করে দেন বিজ্ঞ আদালত। তারপরও ওই চক্রান্তকারী মহিলা তার ফায়দা হাসিলের স্বপক্ষে বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরি করে কৌশলী অভিনয়ের দ্বারা মানুষের মন গলানোর চেষ্টা ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এবং মিথ্যে অভিযোগ তুলেছে যে উপজেলা চেয়ারম্যানের ক্যাডার আনোয়ার হোসেন আনু তাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়েছে। এই চালাক চতুর ও চক্রান্তকারী মহিলা সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও আইনানুগ কার্যক্রম কে অসম্মান ও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। রেজিস্ট্রি ভুক্ত জমির আরেকটি মৌজা তাজপুর মৌজার জমি মাকসুমুল হক চৌধুরী ১৪/৮/১৯৮৩ সালের হেবা দলিল নং ২৯১২/৮৩ ও ১৭ ৪ ১৯৮৩ হেবা দলিল নং ২৯৫০/ ৮৩ তার বাবা মাকসুদাল হক চৌধুরীর নিকট হতে রেজিস্ট্রি প্রাপ্ত হন যার খাজনা খারিজ বর্তমান পর্যন্ত করে আসছে। এতদিনে এসে উক্ত দলিল মিথ্যা বলে দাবি করতেছে মাসিরা চৌধুরী তাহলে এখানে প্রশ্ন থেকে যায় এতদিন কোথায় ছিল সে? কেন তিনি এতদিন নিরব ছিলেন বলে জানান সংবাদ সম্মেলন কারী।
উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাজান হোসেন দলিল নং ৫৬৩০/২২ ৩৩ শতক, স্কুল মাস্টার মোকশেদুজ্জামান ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম দলিল নং ৫৬৩১/২২ মূলে ৩২.৫ শতাংশ জমি ২২/১২/২০২২ তারিখে রেজিস্ট্রি নেন। দাতা মাহবুবা খান পক্ষে আম মুক্তার মাকসুমুল হক চৌধুরী সে জমি রেজিস্ট্রি দেন এখানে আমরা বৈধভাবে জমি ক্রয় করিয়াছি অথচ ধান্দাবাজ মামলা বাজ শক্তি মাসিরা চৌধুরী নানান প্রকার হয়রানির শিকার ও মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে হে প্রতিপন্ন করতেছে। এখানে মাছিরা চৌধুরীর সম্পত্তির সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। সে আর কোন ফন্দি ফিকির খুঁজে না পেয়ে নানা রকম দোষ চাপিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এই সুযোগ সন্ধানী মহিলা।