বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৩
24 Nov 2024 04:31 pm
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধায় কৃষকদের ফলন বাড়াতে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো চারা রোপণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ট্রে পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি ও চারা উৎপাদন শেষের দিকে পৌঁছেছে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও সাঘাটা উপজেলার মাঠে দেখা যায় বীজতলা তৈরির নতুন এক ভিন্ন চিত্র।এসময় ভালো মানের চারা উৎপাদনের জন্য উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রেতে গজিয়ে ওঠা চারাগুলো যত্ন নিচ্ছিলেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মানুষ বাড়লেও, বাড়ছে না কৃষি জমি। তাই স্বল্প জমিতে অধিক ধান উৎপাদন করে মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনায় গাইবান্ধায় উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমলয় পদ্ধিতে বোরো ধান চাষাবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারি কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় কৃষকরা নতুন মাত্রায় ট্রেতে চারা উৎপাদন শুরু করছেন। তারা মেশিন দিয়ে মাটিভর্তি ট্রেতে বপন করছেন হাইব্রিড জাতের ধানবীজ। সেই বীজ থেকে চারায় পরিণত হয়েছে।
কৃষির সর্বাধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উচ্চ ফলনশীল একই জাত ব্যবহার, ট্রেতে বীজ বপন, কম বয়সের চারা রোপণ, চারা রোপণে রাইচ ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহার, সুষম সার ব্যবহার, আইল ফসল, ধান কর্তনে কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়ানো, উৎপাদন খরচ সাশ্রয় করা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ভরা মৌসুমে কৃষি শ্রমিকের সংকটের সমাধান সম্ভব হবে সমলয় চাষাবাদে।পলাশবাড়ীর কৃষক আজগর রহমান বলেন, বোরো ধান চাষাবাদে আগে কখনও ট্রেতে ধানচারা উৎপাদন করা হয়নি। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় ট্রেতে বীজ বপন ও চারা উৎপাদন হচ্ছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়তো ভালো চারা ও অধিক ফলন নেওয়া যেতে পারে।সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান বলেন, সমকালে ঘটিত বা একযোগে কৃষকের ফসল উৎপাদন করা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া এ কার্যক্রমে সহজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকদের অধিক ফলন ঘরে তোলা সম্ভব।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি উপ-পরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, বোরো ধান সমলয় চাষাবাদের পলাশবাড়ী ও সাঘাটায় উপজেলায় প্রাথমিকভাবে ১০০ একর জমিতে চারা রোপণের লক্ষামাত্রা নেওয়া হয়েছে। এটি অর্জনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এই চাষে ইতোমধ্যে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।