শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৩
24 Nov 2024 07:00 pm
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ চলতি বোরো মৌসুমে গাইবান্ধার কৃষকরা ধানের চারা রোপণে প্রস্ততি নিয়েছেন। ইতোমধ্যে ৬ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে করা হয়েছে বীজতলা। আর এক সপ্তাহের মধ্যে এসব বীজতলার চারা তুলে জমিতে রোপণ করা হবে।
এর মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ এবং ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের চারা ঠাণ্ডার আঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ওই লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ১০০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতেও চারা রোপণ করা হবে।
কার্যালয় সূত্র জানায়, অধিদফতর চলতি বছরে মোট ১ লাখ ২৯ হাজার হেক্টর জমি বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৬০ হাজার ৪১৮ মেট্রিক টন পরিচ্ছন্ন ধান। জমিকে বোরো চাষের আওতায় আনতে প্রায় ৬ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। যেখানে চারা ভালোভাবে বেড়ে উঠেছে। কিন্তু, গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার সাথে চলমান শৈত্যপ্রবাহ বীজতলার চারার জন্য সমস্যা হয়ে উঠেছে। বোরো চাষ নিয়ে কৃষকদের আরও চিন্তায় ফেলেছে। ঠাণ্ডা থেকে বোরো ধানের চারা রক্ষা করতে জেলার সাতটি উপজেলায় কৃষকদের পরামর্শ সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করছে কৃষি বিভাগ।
এছাড়াও, মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের বীজতলাতে বোরোর চারা ভালো রাখতে করণীয় পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ রেজাউল ইসলাম।
জানা জায়, গাইবান্ধার অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভশীল। এ জেলার শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ জনসাধারণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষি ফসল ঘরে তুলে তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে চেষ্টা করে। এখানে ধান-পাট-ভুট্টা ও সবজিসহ বিভিন্ন ধরণের ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে। এসবের মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ফসল হচ্ছে বোরো ধান। তাই এবছর সাধারণ চাষাবাদের পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমলয় পদ্ধিতে বোরো ধানচাষাবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারি কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় কৃষকরা নতুন মাত্রায় ট্রে-তে চারা উৎপাদন শুরু করছেন।
সুন্দরগঞ্জের কৃষক শাহ আলম মিয়া জানান, এ বছর ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করবেন। ইতোমধ্যে চারা উৎপাদন শেষের দিকে। এখন জমি প্রস্ততি কাজ চলছে।
পলাশবাড়ীর আব্দুর রহমান বলেন, বোরো ধান চাষাবাদে আগে কখনও ট্রে-তে ধানচারা উৎপাদন করা হয়নি। এ বছর সমলয় চাষের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ট্রে-তে চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়তো ভালো চারা ও অধিক ফলন নেওয়া যেতে পারে।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, কৃষকদের লাভবান করতে তাদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এখন বীজতলগুলো সূর্যের আলো পাচ্ছে বলে ঠাণ্ডা আঘাতে চারা নষ্ট হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।