বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৩
25 Nov 2024 01:11 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃউত্তর জনপদের গাইবান্ধা জেলা জুড়ে জনজীবন চলমান শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে ৷ জেলার ছোট বড় হাট বাজার ও লোকালয় স্থান গুলো সন্ধ্যার পরেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে৷ দিন ১১ টা ও ১২ টার পর সূর্য মামার দেখা মিললেও থাকেনা তাপত্ব, বিকাল গড়াতেই মৃদু ঠান্ডা বাতাসে প্রচন্ড শীত হাড় কাপিয়ে যায়, রাতে আরো শীত ঝেঁকে বসায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের ও শ্রমজীবি মানুষ গুলো। জেলার সরকারি বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে দেখা যায়,শিশুসহ নানা বয়সের মানুষের মাঝে বৃদ্ধি পেয়েছে শীতজনিত রোগ৷ জেলা শহরসহ অন্যান্য উপজেলা গুলোতে পুরাতন শীতকাপড় দোকান গুলোতে বেড়েছে বিক্রি লেগেছে ক্রেতার ভীর। অপরদিকে নতুন শীতকাপড় বিক্রিও তুলনা মূলক ভাবে বেড়েছে৷ তবে সবচেয়ে বেশী বিপাকে রয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো।
জেলার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন শীতজনিত রোগে মূলকারণ শীত নিবারণের পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র ব্যবহার না করা,গোসল না করা ও পানি কম পান করার ফলে শীতকালে শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পায়। একারণেও শিশু সহ সকল বয়সের মানুষ শীত জনিত জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
শ্রমজীবি মানুষ ও নিম্ন আয়ের একাধিক মানুষের সাথে কথা বললে তারা জানান,আপনারা তো সাংবাদিক অনেক কম্বল পান আমাদের কম্বল দিয়েন। আমরা তো কাজ ছেড়ে কোথাও যেতে পারি না তাই কম্বল কারো কাছে পাওয়া যায় না৷ পেটের ক্ষুধা মেটানো দায় শীত নিবারণের ইচ্ছা থাকলেও উপায় নাই৷ এভাবেই চলে যাবে শ্রমজীবি আর নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন৷
এ জেলার দেড় শতাধিক চর এলাকায় তিনলক্ষাধিক দরিদ্র মানুষ শীতকালে শীতবস্ত্র সংকটে প্রচন্ড শীতে ভোগান্তিতে পরেছেন। সকাল সন্ধা খড় কুটো,জ্বালানী খড়ি'র আগুণ তাদের শরীরের শীত নিবারণের প্রচেষ্টার সম্বল,তাই জেলার চর অঞ্চলসহ অন্যান্য উপজেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে শীত নিবারণের জন্য শীতবস্ত্র ও কম্বল সহায়তা প্রদান করা জরুরী হয়ে পড়েছে৷ বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমানে গাইবান্ধা জেলায় সরকারি ও বেসরকারি ভাবে কম্বল বা শীতবস্ত্র বিতরণের দৃশ্য তুলনা মূলকভাবে নেই বললে চলে কম। এ অঞ্চলের মানুষের শীতবস্ত্র সংকটের সরকারি ও বেসরকারি ভাবে এবং সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিৎ। নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশার দরিদ্র মানুষ গুলোর শীতবস্ত্র সংকট রোধে সহায়তার হাত বাড়িয়ে তাদের পাশে দাড়ানো প্রয়োজন।