বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৩
24 Nov 2024 03:16 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ রবি মৌসুমে গাইবান্ধার কৃষকের ক্ষেতে এক সময়ে আগাছা হিসেবে জন্মাত পুষ্টিগুণে ভরা বথুয়া শাক। আর এই শাক সংগ্রহে সব বয়সের নারী-কিশোরী হুমড়ি খেয়ে পড়ত। মায়ের হাতে রান্না বথুয়ার স্বাদ ছিল অন্যতম। কিন্তু আবহমান গ্রামবাংলার চিরচেনা বথুয়া শাক যেন এখন অচেনা হয়ে পড়েছে।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে হঠাৎ করে এই বথুয়া শাকের দেখা মেলে গাইবান্ধার রসুলপুর গ্রামের মরিয়ম বেগম (৫৫) নামের এক নারীর পাত্রে। তিনি শাক রান্নার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন। এরই মধ্যে জানালে বথুয়ার নানা ইতিকথা।
জানা যায়, প্রায় দুই দশক আগে রবি মৌসুমে গাইবান্ধার কৃষকরা ফলাতো গম, আলু ও সবজিসহ নানা ধরণের ফসল। এসব ক্ষেতে আগাছা হিসেবে গজিয়ে উঠত সবুজ রঙের বথুয়া শাক। এই শাক গ্রামবাংলার কারও চোখে পড়লে লোভ হয় না, এমন মানুষ কম পাওয়া যেত।
ভেষজ গুণাগুণে ভরা এই শাক ভাত-রুটির সঙ্গে সবার প্রিয় খাবার ছিল। সকাল-বিকেল প্রত্যেক বাড়ির নারী ও কিশোর-কিশোরীরা দলবেঁধে ছুটতো মাঠে। সংগ্রহ করতো বথুয়া শাক। মায়ের হাতে রান্না করা এ শাকের স্বাদ লোভনীয়। সেটি এখন আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবে আগের মতো অহরহ দেখা মেলে না।
নছিম উদ্দিন নামের এক প্রবীণ বলেন, একসময় শাকের রাজা হিসেবে পরিচিত ছিল বথুয়া শাক। মুখরোচক এই শাক খেতে অত্যন্ত মজাদার। কিন্ত আবহাওয়া পাল্টে যাওয়ায় এখন সেই শাক তেমন আর চোখে পড়ে না। তবে চরাঞ্চলে কিছুটা পাওয়া যায়।
জহুরুল ইসলাম নামের এক কৃষক বলেন, এখন বানিজ্যিভাবে অনেকে বথুয়ার আবাদ করে কিন্তু এই শাকগুলোর তেমন স্বাদ পাওয়া যায় না।
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রাফিউল আলম বলেন, বথুয়া শাক বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এ শাক প্রচুর ভেষজ গুণাগুণ সম্পন্ন।