মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৩
26 Nov 2024 04:46 am
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় কুড়িগ্রামে ক্রমান্বয়ে কমছে তাপমাত্রার পারদ। গতকাল(সোমবার) থেকেই কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসে।
ঘন কুয়াশার কারণে দূর্ঘটনা এড়াতে হেড লাইট জ্বালিয়ে সড়কগুলোতে চলছে যানবাহন । ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায়। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষজন। রেহাই পাচ্ছে না পশু-পাখিরাও। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। জীবন-জীবিকার তাগিদে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবিরা।
কুড়িগ্রাম পৌরসভার ঔষধ ব্যবসায়ী মাসুদ রানা বলেন,'সকালে দোকান খুলে বসে আছি । ঠান্ডার কারণে তেমন বেচা-কেনা হচ্ছে না। খুবেই কষ্টে আছি।'
ধরলা পাড়ের বাসিন্দা জমসের আলী বলেন,'কনকনে ঠান্ডায় বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। ঠান্ডা বাতাসে শরীরে কাঁপুনি আসে। কাজ-কর্ম করা খুব মুশকিল হয়েছে ।'
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের গারুহাড়া গ্রামের কৃষ্ণ নামের এক জেলে বলেন,'আজ প্রচুর ঠান্ডা পড়ছে তার পরেও জীবিকার তাগিদে বাহির হয়েছি। যতই ঠান্ডা হোক না কেন আমাদের বাহির হতে হয়। বাহির না হলে যে সংসার চলবে না।'
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক তুহিন মিয়া জানান, মঙ্গলবার সকুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাপমাত্রার প্রকোপ কমায় জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী দু-তিন এ শৈত্য প্রবাহ থাকতে পারে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন,'ইতোমধ্যে ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে নতুন করে ১ লাখ ১৪ হাজার কম্বল চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।'////
সাইফুর রহমান শামীম