সোমবার, ০৯ জানুয়ারী, ২০২৩
25 Nov 2024 02:34 am
প্রথম ম্যাচে দলটা রান করেছিল মোটে ৮৯। সেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সামনেই দ্বিতীয় ম্যাচে লক্ষ্য ১৭৯ রানের। তরুণ খেলোয়াড় দিয়ে সাজানো দলটার সামনে নিঃসন্দেহে বড়সড় এক চাপের বিষয়। কিন্তু সেসব চাপকে ভয় হয়ে উঠতে দিলেন না উসমান খান। একাই লড়লেন শেষ পর্যন্ত। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে ৪ বল হাতে রেখেই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেলেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার।
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার দিনের দ্বিতীয় খেলায় খুলনা টাইগার্সকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ১০ চার ও পাঁচ ছয়ে ৫৮ বলে ১০৩ রানের অপরাজিত থেকে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন উসমান খান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনা টাইগার্স প্রথম ৪ ওভারে করে মোটে ১২ রান। এরপর আজম খান এসে চিত্রপট বদলে দেন। একাই করেন দলের সিংহভাগ রান। ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়ে তুলে নেন সেঞ্চুরি। তার শতকে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৮।
ছয় মেরে তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগারে পৌঁছান আজম খান। ৫৮ বলে ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ছয় মেরেছেন ৮টি। চারের মারও কম ছিল না, ৯ বার বাউন্ডারি ছাড়া করেছেন চট্টগ্রামের বোলারদের।
খুলনার শুরুটা অবশ্য আজ ভালো হয়নি। দলীয় ৫ রানে শারজীল খানের উইকেট হারায় দলটি। ৭ রানের ব্যবধানে অভিষিক্ত হাবিবুর রহমান সোহান ফেরেন ৬ রান করে। ৪ ওভারে রান আসে মোটে ১২।
পঞ্চম ওভার থেকেই চট্টগ্রামের বোলারদের ওপর চড়াও হন আজম খান। সে ওভারে এক চার ও এক ছয়ে নিজের আগমনী বার্তা জানান দেন। এরপর একে একে চট্টগ্রামের সব বোলারদেরই তুলোধুনো করেন ডানহাতি এ ব্যাটার। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল অবশ্য ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন আজমকে। দুজনে মিলে গড়েন ৯২ রানের জুটি।
৩৭ বলে ৪০ রান করে ভিভাসকান্তের বলে আউট হন তামিম। তবে লড়াই ছাড়েননি আজম। শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে দলকে নিয়ে যান বড় সংগ্রহের দিকে। খুলনার ইনিংসের শেষদিকে ৭ বলে ১০ রানের ইনিংস খেলেছেন সাব্বির রহমান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সাবধানী ক্রিকেট খেলেছেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার উসমান খান ও ম্যাক্স ও’দাউদ। দুজনে মিলে গড়েন ১৪১ রানের জুটি। ৫০ বলে ৫৮ রান করে ম্যাক্স নাহিদুলের বলে ক্যাচ হয়ে ফেরেন। তবে জয়ের জন্য তখন দরকার ছিল মাত্র ৩৮ রান, হাতে ৯ উইকেট।
আফিফ হোসেনকে নিয়ে নির্বিঘ্নে কাজটা সেরে ফেলেন উসমান। সেই সঙ্গে দলকে এনে দেন এবারের বিপিএলের প্রথম জয়ও। ১০ বলে ৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন আফিফ।