শনিবার, ০৭ জানুয়ারী, ২০২৩
24 Nov 2024 03:27 am
নাটোর প্রতিনিধিঃ পৌষের মাঝেই নাটোরের লালপুর উপজেলা জুড়ে জেঁকে বসেছে শীত। গত ৭দিন ধরে হাড় কাপানো শীতে কাবু হয়ে পড়েছে উপজেলাবাসী। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় জুবথুব অবস্থা। মানুষ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বেড় হচ্ছে না। এই অবস্থায় শীত নিবারনের জন্য উপজেলা জুড়ে বেড়েছে গরম কাপড়ের চাহিদা। এই শীতে সব চেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষেরা। শীতে তাদের বাঁচা দায় হয়ে পড়েছে। ফলে কোন রকমে শীত নিবারণের জন্য তারা কম মূল্যের কাপড় কেনার জন্য বাজারে পুরাতন কাপড়ের চটির দিকে ছুটছেন। ফুটপাতের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে বেচা-বিক্রি। নতুন কাপড়ের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরনো কাপড়ের দোকানের দিকে ঝুঁকে পড়েছে ক্রেতারা।একটু শীত থেকে বাঁচতে ফুটপাতের দোকানগুলি থেকে নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন এসব কাপড় ক্রয় করছে। বড়দের পাশাপাশি শিশুদের জন্যও উঠেছে পোশাক।
সরেজমিনে উপজেলার গোপালপুর কড়ই তলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় পুরাতন গরম কাপড় (পোশাক) কিনতে ক্রেতাদের বেশ ভীড়। বড়দের পাশাপাশি শিশুদের জন্যও পোশাক কিনছেন এখানকার ক্রেতারা। শুধু গোপালপুর কড়ই তলাতেই নয় উপজেলার ওয়ালিয়া, লালপুরসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে পুরাতন কাপড়ের পাশরা সাজিয়ে বিক্রয় করা হচ্ছে। এসব ফুটপাতে দোকান গুলিতে কি নেই। ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৪৫০-৫০০ টাকার মধ্যে হয়ে যাচ্ছে শীত নিবারনের গরম কাপড়।
এসময় কথা হয় গরম কাপর কিনতে আসা আজিবর, আরিফ, সোহান সহ কয়েক জনের সঙ্গে। তারা বলেন, গার্মেন্টস দোকানগুলিতে কাপড়ের দাম বেশি। শীতে গরম পোশাক প্রয়োজন। তাই বেশি দামে নয়, কম দামেই গরম পোশাক কেনার জন্য এসছি। তবে গত বছরের চেয়ে এবার এসব কাপড়ের দাম একটু বেশি হাকা হচ্ছে।’
পুরাতন কাপড় বিক্রেতা সাইদুল ও হাসিব আলী জানান, গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় চাহিদা বেড়েছে এসব কাপড়ের। শীত থেকে রেহাই পেতে বয়োবৃদ্ধ সকলেই কাপড় কিনছে। বিক্রিও হচ্ছে ভালো। দাম বেশির বিষয়ে তারা বলেন, সব জিনিসের দাম বাড়ায় এবার পুরাতন কাপড়েরও দাম বেড়েছে। গত বছর যে কাপড়ের গাইট ৮-৯ হাজার টাকায় কেনা ছিলো এবার তার দাম বেড়ে হয়েছে ১০-১২ হাজার টাকা। তবে কাপড়ের ধরনের উপর গাইটের দাম নির্ভর করে। ’
এদিকে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য মতে শনিবার সকালে ঈশ্বরদী ও তার আশেপাশের এলাকার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা জানায়, এবার উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৫ হাজার ৩শ ৯০ টি কম্বল বরাদ্দ এসেছে । যা দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় বিতরণ করা হয়েছে।’
মো. আশিকুর রহমান টুটুল