বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫
31 Jan 2025 02:47 am
বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের রকেট এজেন্ট মোবাইল ব্যাংকিং অফিসে, সি.এম আলমগীরের বিরুদ্ধে প্রিপেইড কার্ডের টাকা নিয়ে জাতীয় দৈনিক একুশের বাণী পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি, আরিফুল ইসলাম এর সাথে জালিয়াতির অভিযোগ।
সূত্র মতে জানা যায় জাতীয় দৈনিক একুশের বাণী পত্রিকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধি, আরিফুল ইসলাম গত ১০ই ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে তার কাছে প্রিপেইড কার্ডের আবেদন করার জন্য রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট অফিসে আসেন এবং সেখানকার কর্মরত সি.এম আলমগীর হোসেন তাকে বলেন কার্ড এখান থেকে করা যাবে এই কথা বলে অফিসের ভেতরে এনআইডি কার্ড এর ফটোকপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি, নমিনির পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ও এন আই ডি কার্ডের ফটোকপি, অফিসের ভেতর প্রিপেইড কার্ডের জন্য ৬০০ টাকা অফিস খরচ নেয় সি.এম আলমগীর এবং দ্রুত কার্ডটি হাতে পাওয়ার জন্য আরও অতিরিক্ত ২,০০০ টাকা অফিসের বাইরে চা খাওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে উক্ত জেলা প্রতিনিধিকে অফিসের নিচে নিয়ে এসে পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে কার্ডটি প্রস্তুত করে দেওয়ার কথা বলেন, তিনি আরও বলেন ২,০০০ টাকা দিলে নাকি সে কার্ডটি তাড়াতাড়ি দিতে পারবে এবং সে যখন একজন ডাচ্ বাংলা রকেট মোবাইল এজেন্ট ব্যাংকিং সেবাই কর্মরত সি.এম পদে থাকা কর্মকর্তা তাকে বিশ্বাস করে আরও বাড়তি দুই হাজার টাকা জাতীয় দৈনিক একুশের বাণী পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম এর কাছ থেকে নেন সি.এম আলমগীর হোসেন একই পত্রিকার সদর প্রতিনিধি মোঃ রফিক খানের সামনে। অতঃপর ৫দিন অতিবাহিত হলেও একাধিকবার ফোন দিয়ে কার্ড এর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমাদের সার্ভারের সমস্যা, এজন্য আগামী মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন।
সি.এম আলমগীর হোসেন বলেন, সম্ভবত আপনার কার্ডটি ০১/০১/২০২৫ইং তারিখে হাতে পেয়ে যাবেন। তাই এই পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে আপনাকে। সে কার্ড পাওয়ার জন্য নির্ধারিত সময় বেঁধে দেয় ০১/০১/২০২৫ ইং তারিখ, কিন্তু তারপরেও সে কার্ডটি এখনও প্রস্তুত করেননি। সফটওয়্যার আপডেট হবে ৫ জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে, যা আপডেট হয়ে গিয়েছে যথাসময়ে। অতঃপর উক্ত ব্যাংকের সি.এম আলমগীর হোসেনকে একাধিকবার ফোন দিয়ে না পাওয়ায় দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর ব্যাংক সূত্রে খবর নিয়ে জানা যায় ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে জেলা প্রতিনিধিকে কার্ড দিবে মর্মে জানানো হয়। অতঃপর জেলা প্রতিনিধি বগুড়া ব্রাঞ্চ অফিসে এবং কল সেন্টারে সি.এম আলমগীর হোসেন এর নামে অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা
প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম ব্যাংকের নিকট গিয়ে প্রিপেইড কার্ড চেয়ে বিস্তারিত বলেন। তখন ঊর্ধ্বতন অফিসারগণ এস.আর কমপ্লেইন ম্যানেজার এন্ড ইনচার্জ রশিদুল ইসলাম সহ সবাই জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে সি.এম আলমগীর হোসেনের ভুলের ও দুর্নীতিজনিত কারণে তার জন্য আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। সে আসলে আপনার সাথে এমনটা আচরণ করে ঠিক করেনি, প্রকৃতই প্রিপেইড কার্ড এর জন্য অফিসিয়াল খরচ হয় মাত্র ৫৭৫ টাকা, ২,০২৫ টাকা নেওয়া কখণই উচিত হয়নি। একজন সাংবাদিককে এতটা হয়রানি করা তার ঠিক হয়নি এগুলো বুঝিয়ে আরিফুল ইসলামকে এর পরিপ্রেক্ষিতে সি.এম আলমগীরের বাড়তি নেওয়া ২,০২৫ টাকা যে দুর্নীতি করে নিয়েছিল সে জন্য ডাচ্ বাংলা রকেট এজেন্ট মোবাইল ব্যাংকিং এ অফিস কর্তৃপক্ষ ফেরত দিতে চায় এবং তাকে ক্ষমা করে দিতে বলে। তারা এটাও বলে আপনি যদি টাকা ফেরত না নেন তবে উক্ত সি.এম আলমগীর হোসেন এর চাকুরী চলে যাবে। অতঃপর ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখ সি.এম আলমগীর একাধিকবার তার ফোন থেকে জাতীয় দৈনিক একুশের বানী পত্রিকার জেলা প্রতিনিধিকে ফোন করেন, ফোন করার কারণ জিজ্ঞেস করতে চাইলে তিনি বলেন শহরে কি আসবেন না, আসেন একটু দেখা করি, একটু কথা বলব, জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে অভিযোগে টাকার কথা লিখেছেন কেন? এটা লেখা যাবে না, এটা লিখলে তার নাকি চাকরি থাকবে না, এই কথা শোনার পর যখন জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম বলেন আমি একবার লিখিত দিয়েছি এবং আপনি যে আমার থেকে বাড়তি ২,০২৫টাকা নিয়েছিলেন দুর্নীতি করে সেটাও আপনার ঊর্ধ্বতন অফিসার এস.আর কমপ্লেন ম্যানেজার রশিদুল ইসলাম আমাকে টাকাও বুঝিয়ে দিয়েছে, আপনি যেটা বেশি নিয়েছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে সি.এম আলমগীর উক্ত পত্রিকার জেলা প্রতিনিধিকে তার ঘৃন্য কৃতকর্ম ঢাকার জন্য বিভিন্ন অজ্ঞাত নামা লোকদের দিয়া পথরোধ করে হুমকি-ধামকি ও দাবান-শাসান করিতে থাকে তার নামে ব্যাংকে দেওয়া অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য, এমনকি মোবাইল ফোনেও জীবন নাশের হুমকি ধামকি দেওয়া হয় অপরিচিত নাম্বার থেকে। এ বিষয়ে একাধিকবার সি.এম আলমগীরের ঊর্ধ্বতন অফিসার এস.আর কমপ্লেন ম্যানেজার এন্ড ইনচার্জ রশিদুল ইসলামকে জানালে তিনি তাকে ফোন দেন এবং তার ঊর্ধ্বতন অফিসারের ফোন রিসিভ না করে হুমকি প্রদান করে যান।
এ বিষয়ে বগুড়া ব্রাঞ্চ অফিস এবং কল সেন্ট্রারে আবারো জানালে তারা আমাকে এখনো ফিডব্যাক দেয়নি। অথচ তিন কর্ম দিবসের মধ্যে ফিডব্যাক দেওয়ার কথা ছিলো।
এমতঃ অবস্থায় কল সেন্টারে বারবার তার বিষয়ে অভিযোগ দিলে সেখানকার কল সেন্টার প্রতিনিধি বলেন আপনি সি.এম আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন। বর্তমান অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা জাতীয় দৈনিক একুশের বাণী পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম, ডাচ্ বাংলা রকেট মোবাইল এজেন্ট ব্যাংকিং এর সি.এম আলমগীর হোসেনের এর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন মর্মে জানা যায়।