শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৫
11 Jan 2025 05:41 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রংপুর বিভাগের আট জেলায় হাড়কাঁপানো শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। তাপমাত্রার পারদ ৭ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। সেই সঙ্গে কনকনে হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এদিকে, প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহে নিউমোনিয়া, কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দিজ্বরসহ বিভিন্ন রোগবালাই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তিন দিনে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৫ শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তাদের মধ্যে ৩ জন সদ্যপ্রসূত শিশু। আক্রান্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে দেড় শতাধিক শিশু।
রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় গাইবান্ধায় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান শুক্রবার সকালে জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন একেবারে অচল হয়ে পড়েছে। গত দুই দিন ধরে সূর্যের মুখ দেখেনি এ অঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে, কনকনে ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়ে অসহনীয় হয়ে পড়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। শহরের চেয়ে শীতের তীব্রতা গ্রামাঞ্চলে আরও বেশি। মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
তীব্র শীতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল আর হতদরিদ্র পরিবারগুলো। শীতবস্ত্রের অভাবে মানবেতরভাবে দিন কাটছে তাদের। এখন পর্যন্ত পলাশবাড়ীতে সরকারিভাবে ১৯০০ কম্বল বিতারন করেছেন। অপরদিকে শীতজনিত নানান রোগবালাই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।