সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪
18 Nov 2024 04:21 am
৭১ভিশন ডেস্ক:- বাংলাদেশে পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সব দলের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ (সমান সুযোগ) দেখতে চায় যুক্তরাজ্য।ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক মন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট এ কথা জানান।
ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐক্য ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই যুক্তরাজ্য আশা করছে, কিভাবে সেসব বাস্তবায়ন করা হবে সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর পরিকল্পনা তুলে ধরবেন।
ক্যাথরিন বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের জনগণকে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যেতে সহায়তা করার চেষ্টা করবে।
পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সব রাজনৈতিক দলের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ থাকবে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেন, ‘অবশ্যই। আর আমরা আশা করছি, কিভাবে এসব ঘটবে সে বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবেন অধ্যাপক ইউনূস।’
ওয়েস্ট বলেন, তাঁরা জানেন যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার শান্তি ও শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এসব উদ্দেশ্য সাধন করতে যুক্তরাজ্য সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিটিশ মন্ত্রী বলেন, তিনি ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা একক কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেননি। তবে বাংলাদেশ বর্তমানে রূপান্তরের পর্যায়ে থাকায় তাঁরা সরকারকে সমর্থন করতে চান। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার যেসব কাজ করছে, আমরা তাদের সব কাজে সহযোগিতা করতে চাই।
ব্রিটিশ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী।
বাংলাদেশের জনগণের জন্য উন্নত গণতান্ত্রিক ভবিষ্যত্ গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তী সরকারের দৃঢ় সংকল্পকে স্বাগত জানান তিনি।
ওয়েস্ট বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের খুব শক্তিশালী ও অবিচল বন্ধুত্ব রয়েছে। আমরা শক্তিশালী অংশীদারি গঠন করতে চাই এবং সেই গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি শক্তিশালী সম্পর্কের ওপর নির্মাণ করতে চাই। পাশাপাশি একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।’
অর্থনীতি ও বাণিজ্য থেকে শুরু করে নিরাপত্তা, অভিবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি জানান, তাঁরা একসঙ্গে অনেক কিছু করছেন এবং তাঁদের অবশ্যই কাজ চালিয়ে যেতে হব।
এর আগে গত শনিবার ঢাকায় আসার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক বার্তায় ব্রিটিশ মন্ত্রী বলেন, কয়েক মাসের অশান্ত অবস্থার পর বাংলাদেশের জনগণের ‘শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ ও জবাবদিহির’ জন্য একটি পথ পাওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে এবং শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাজে যুক্তরাজ্য কিভাবে সর্বোত্তম সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে আমি এখানে এসেছি।’
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শরণার্থীদের জন্য উপযুক্ত আশ্রয় নির্মাণ এবং শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য, চিকিত্সা সরবরাহ ও শিক্ষা নিশ্চিত করতে তাঁরা আরো ১০ মিলিয়ন পাউন্ড ঘোষণা করেছেন।
গত আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এই প্রথম যুক্তরাজ্যের কোনো মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর।
কালের কণ্ঠ