রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪
17 Nov 2024 06:15 am
ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ-প্রান্তিক কৃষক বকুল মিয়া ও পারভীন বেগম।সবাই কাজ করছেন মাঠে।শীতকালীন শাক-সবজি উৎপাদনের লক্ষে কেউ করছেন জমি প্রস্তুত।আবার কেউ কেউ করছেন খেত পরিচর্যা।এ বছর অধিক লাভের স্বপ্নে হেমন্তের তীব্র রোদে দিনভর মাঠে ঘাম ঝরাচ্ছেন এই নারী কৃষকরাও।
সম্প্রতি গাইবান্ধা জেরার বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে দেখা গেছে- নারী কৃষকদের শাক-সবজি চাষাবাদের ব্যস্ততা। তারা মাঠে কাজ করছেন আপন খেয়ালে।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে- চলতি রবি মৌসুমে গাইবান্ধার সাত উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার ৯৪৭ হেক্টর জমিতে শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।ইতোমধ্যে জমি প্রস্ততসহ ফসল উৎপাদনের লক্ষে মাঠে নেমেছেন কৃষক।এ পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গেল খরিপ মৌসুমে বিরূপ আবহাওয়ায় শাক-সবজিসহ অন্যান্য ফসলের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।এসব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সম্প্রতি কৃষকরা ঝুঁকে পড়ছে শীতকালীন সবজি চাষে।সেইসঙ্গে গত বছরের তুলনা এ বছরে কাঁচা তরকারির দাম বেশি থাকায় শাক-সবজি চাষে প্রান্তিক কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে অনেকটাই।তারা ইতোমধ্যে মুলা, লাউ, সিম, কপি, বেগুন, গাজর, পালং শাক, লাল শাকসহ আরও বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি চাষাবাদ শুরু করছেন।এরই মধ্যে কিছু সংখ্যক কৃষক তাদের উৎপাদিত সবজি বিক্রিও করছে। তবে এ বছরে বীজ-সার-কিটনাশক ও অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম বেশি থাকায় চাষাবাদে হিমশিম খাচ্ছে।এরই প্রভাবে উৎপাদন কম হওয়ার শঙ্কায় ভুগছেন তারা।তবুও লাভের আশায় শীতকালীন শাক-সবজি চাষে মাঠে ঘাম ঝরাচ্ছেন প্রান্তিক কৃষক।
পলাশবাড়ীর কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে দেড় বিঘা জমিতে পেঁয়াজ ও মুলা আবাদ করেছি।আর কিছুদিন পরে ফসল বিক্রি করা যেতে পারে।এতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা।যা গত বছরের চেয়ে বেশি খরচ হয়েছে।তাই অধিক ফলন ও ভালো দাম পেলে লাভবান হওয়া সম্ভব।
বকুল মিয়া নামের আরেক কৃষক বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরেও শীতের সবজি হিসেবে গাজর ও বেগুনসহ অন্যান্য শাক-সবজি আবাদ করেছি।এতে কৃষি বিভাগের কোনো ধরণের সহযোগিতা পাওয়া যায় না। তাদের পরার্শ কিংবা প্রণোদনা পেলে আরও লাভবান হওয়া যেত।
উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া বলেন,শাক-সবজির স্থানীয় চাহিদা পূরণের লক্ষে ও কৃষকদের লাভবান করতে প্রণোদনা দেওয়াসহ বিভিন্নভাব সহযোগিতা করা হচ্ছে।
গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন,চলতি রবি মৌসুমে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে বীজ-সার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।শীতকালীন শাক-সবজির অধিক ফলন পেতে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে।